Movie

অন্য চন্দন

ফিচার পাতা

‘দ্য ক্লাউড অ্যান্ড দ্য ম্যান’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য এবছর রাশিয়া প্যাসিফিক মেরিডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করলেন পশ্চিমবাংলার অন্যতম মঞ্চাভিনেতা চন্দন সেন। ‘মানিকবাবুর মেঘ’ নামে ছবিটি বেশ ক’বছর আগে মুক্তি পায় এবং ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ভালো ছবি হিসাবে দর্শকের মন জয় করে নেয়। মানিকবাবুর মেঘ ছবিটির ইংরেজি নামকরণ করা হয় ‘দ্য ক্লাউড অ্যান্ড দ্য ম্যান’। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবির কেন্দ্রে রয়েছে মেঘের সঙ্গে এক মানুষের সম্পর্ক। মেঘ ছবিটি সাতাশতম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা এশিয়ান ফিল্ম নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড পায়। মঞ্চনাটকে অভিনয়ই চন্দন সেনের প্রথম প্রেম। কথা প্রসঙ্গে মঞ্চাভিনেতা জানান, অন্য মাধ্যমে অভিনয় করলেও নাটকে অভিনয় করে সরাসরি দর্শকের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করা যায়। দর্শকের চোখ মুখের অভিব্যক্তি একজন অভিনেতাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করে। এই পুরস্কার তারই স্বীকৃতি।
চন্দননগরে নতুন আর্ট গ্যালারি
চারুকলা, চিত্রশিল্প ও ভাষ্কর্যের দিকপালদের শিল্পকর্মের ডালি সাজিয়েই নতুন আর্ট গ্যালারির উদ্বোধন হলো চন্দননগরে। চন্দননগর ষ্ট্র্যান্ড সংলগ্ন ভাষা শহীদ স্মারকের উলটোদিকে রাস্তার কয়েক পা এগলেই প্রখ্যাত চিকিৎসক জিএম সুরের বাড়ি। সেই বাড়ির তিনটি ঘর নিয়ে এই আর্ট গ্যালারি চালু হলো। প্রখ্যাত চিকিৎসক জিএম সুরের স্মরণে গ্যালারির ফরাসি ভাষায় নামকরণ  হয়েছে ‘গ্যালারি দ্যা মনসিউর সুর’। চিকিৎসক জিএম সুরের পুত্র তথা বিশিষ্ট ভাষ্কর প্রদীপ সুর ও শিল্প সংগ্রাহক ও কিউরেটার অমিত মিত্রের যৌথ প্রয়াসেই সম্প্রতি এই আর্ট গ্যালারির উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পানুরাগী ও গ্যালারিস্ট মধুছন্দা সেন। গ্যালারির উদ্বোধনের পাশাপাশি হুগলী হাওড়া ২৪ পরগনা ও কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চিত্রকর স্বনামধন্য শিল্পী ও ভাষ্করদের চিত্র ও ভাষ্কর্যের প্রদর্শনী হয়। প্রদর্শনী চলবে আগামী তিরিশে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, হুগলী সহ মফস্বলের চিত্রকর অমিত ভড়, মহী পাল, তারক মুখোপাধ্যায়, সুদীপ সাহা, জয় সাহার ছবি যেমন আছে তেমনই আছে বিশিষ্ট শিল্পী নন্দলাল বসু, রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, সদ্য প্রয়াত চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুর, গণেশ হালুই সহ প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও ভাস্করদের ছবি ও শিল্পকর্ম। প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণে প্রখ্যাত চিত্রকর অমিত ভরের আঁকা ছবিটিও প্রদর্শিত হয় এই প্রদর্শনশালায়। আর্ট গ্যালারির কর্ণধার ভাস্কর প্রদীপ সুর জানান স্থায়ী প্রদর্শনশালা গড়ে তোলার ইচ্ছে থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ। ১৯৯৮সাল নাগাদ চন্দননগর মিউজিয়ামেই আমরা যৌথ ভাবে একটি চিত্র প্রদর্শনী করার কথা ভেবেছিলাম। তখন মিউজিয়ামের বাইরের একটি ঘর ভাড়া করে প্রদর্শনী করেছিলাম। তখন ঘর পিছু দৈনিক ভাড়া যা সরকার ধার্য করেছিলো তা হলো একশো টাকা। আমরা কুড়ি-পঁচিশ জন চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর মিলে একটা গ্রুপ তৈরি করে নাম দিয়েছিলাম রূপ। প্রত্যেক বছরই প্রদর্শনী হতো। দেখাদেখি অনেকেই প্রদর্শনী করত। যেমন আলোকচিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদি। বছর ছয়েক বা পাঁচেক আগে সেই হলের দৈনিক ভাড়া একলাফে অনেকটাই বেড়ে যায়। আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে বিপুল পরিমাণে দাঁড়ায়। তখন নিজেদের বাড়ির তিনটে ঘর নিয়ে কিছু করার কথা ভাবি। সেই ভাবনার ফসল এই প্রদর্শশালা।
বিকল্পের সন্ধানে
আসন্ন শারদোৎসবে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে নাইনটিটু পয়েন্ট সেভেন অভিনব এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রতিদিন ব্যবহারের পর এমন অনেক কিছু আমরা ফেলে দিই যা পরিবেশকে দূষিত করে। অথচ এইসব সামগ্রী দিয়েই গড়ে উঠতে পারে উৎসবের নানান উপাদান। যেমন মণ্ডপ, শারদোৎসবের মূর্তি ও নানান অলঙ্করণ ইত্যাদি। পুরানো বা ছেঁড়া জামাকাপড়, খবরের কাগজ, শিশি-বোতল, ভাঙা ছাতা, প্ল্যাস্টিকের মোড়ক, এমনকি বাতিল আসবাবপত্র দিয়ে এবার গড়ে উঠেছে সংস্থার অভিনব শারদপ্রতিমা। উৎসবের চারদিন সিটিসেন্টারে এই প্রতিমা দেখা যাবে। সেখানে সংস্থার রেডিওজকিরা ছাড়াও এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত সমাজের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত থাকবেন। সম্প্রতি মধ্য কলকাতার এক রেস্তোরাঁয় দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়তে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, মৌবনী সরকার প্রমুখ।
কবিতা কথালাপ
শব্দের সঙ্গে শব্দ বুনে যেমন কবিতার জন্ম হয় তেমনি কবিতা নিয়ে ঘর সংসার করতে করতে কবিতা কথালাপের জন্ম। এবার দশম বর্ষ অতিক্রম করল কবিতা কথালাপ। স্মরণীয় এই মুহূর্তটিকে কবিতার অনুসঙ্গে ভিন্নমাত্রা দিতে সচেষ্ট হলো দুদিনের এক উৎসব। সম্প্রতি জ্ঞানমঞ্চে বাচিক শিল্পী জগতের বহু বিশিষ্ট শিল্পীর উপস্থিতিতে হাসান হায়দার খানের সানাইয়ের সুরে সুরে বেজে উঠল কবিতাচর্চার নতুন দিগন্ত। যার ভাবনায় কবিতা কথালাপের জন্ম সেই বাচিকশিল্পী ও প্রযুক্তিবিদ চন্দ্রিমা রায়ের কথনেও কবিতার সুর লয় ও রেশ। এবং দৃঢ় প্রত্যয় ‘আমি ভয় করবো না/ ভয় করবো না/ দুবেলা মরার আগে মরবো না’। হিরণ মিত্র’র তুলির ছোঁয়ায় বর্ণময় ষোলপাতার একটি বর্ষপঞ্জি প্রকাশ হয়। সংবর্ধনা নানানো হয় বিজ্ঞানী দীপক ঘোষ, অধ্যাপক চিন্ময় গুহ, দেবাশিস সেন ও পার্থসারথি ভট্টাচার্যকে। পরিবেশিত হয় গান ও ছৌনৃত্য।
আয়না ঘরের উদ্বোধন
দমদমের রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ুধের অভিনব নতুন নাট্যমঞ্চ ‘আয়না ঘর’। সম্প্রতি নাট্যমঞ্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নাট্যব্যক্তিত্ব প্রবীর গুহ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গগনদীপ এবং নাট্য পরিচালক দেবাশিস রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সঞ্জীব দে, অধ্যাপক জসমিত সিং সহ সাংস্কৃতিক জগতের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ুধের কর্ণধার ও নাট্য পরিচালক ড. দানী কর্মকার বলেন, ভারত স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদ্‌যাপন ও পেশাদার বাংলা থিয়েটারের ১৫০বছর পূর্তিকালে রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ুধের এই নাট্যমঞ্চের উদ্বোধন এক ঐতিহাসিক মুহূর্তেরই সাক্ষর হয়ে থাকল। এই মঞ্চের নামকরণ করেছেন প্রবীর গুহ এবং লোগো ডিজাইন করেছেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী হিরণ মিত্র। বারো বছর ধরে আমাদের নিজস্ব মঞ্চের স্বপ্ন ছিল। যেখানে আমরা স্বাধীনভাবে অভিনয় করতে পারব। চাইলে বন্ধু নাট্যদলেরাও অভিনয় করতে পারবেন। ‘এই সময়ে অন্তরঙ্গ থিয়েটারের প্রয়োজনীয়তা’ নিয়ে এক আলোচনায় বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীর গুহ ও দেবাশিস রায়। তাঁদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অন্তরঙ্গ থিয়েটারের নানা দৃষ্টিভঙ্গি উঠে আসে। এরপর দর্শক আসনে উপস্থিত নাট্যজন ও সংস্কৃতিকর্মীদের হাতে ফুল ও উত্তরীয় তুলে দিয়ে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। নৃত্য পরিবেশন করেন বর্ণালী কর্মকার। অভিনীত হয় রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ুধের অন্তরঙ্গ নাট্য ‘মেঘের কোলে বুনো হাঁস’। নির্দেশনায় ড. দানী কর্মকার। উদ্বোধন হয় ‘থিয়েটার দুনিয়া’ নাট্য পত্রিকার এবারের শারদীয়া সংখ্যা। স্বল্প আসন বিশিষ্ট এই মঞ্চে নানা পরীক্ষামূলক থিয়েটার করা ছাড়াও চলচ্চিত্র প্রদর্শন, নিয়মিত নাট্য কর্মশালা ও সেমিনার করা সম্ভব। মঞ্চের গঠনে একটা বহুমাত্রিক উন্মুক্ততা আছে। প্রসেনিয়াম মঞ্চে যারা কাজ করেন তাঁরা ছাড়াও ভিন্নধর্মীর অন্তরঙ্গ থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত নাট্যশিল্পীরাও পুরো স্পেসটাকে নিজদের মতো করে সাজিয়ে নিয়েও কাজ করতে পারবেন। দমদমের এলাকাবাসীর জন্য নাটক দেখার ও নতুন দর্শক তৈরি করার জন্য এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। 
দশে পা
গতবছরই দশে পা দিয়েছে বেলঘরিয়া থিয়েটার আকাডেমি। যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। প্রথম নাটক ছিল, এক যে ছিল ভূত। করোনার দাপটে গত বছর দশম বর্ষ উদ্‌যাপন সম্ভব হয়নি। সে জন্য এবার সারাবছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দশম বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন করা হবে। সম্প্রতি গিরিশ মঞ্চে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ‘নাটক না করলে কি হয়’ আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন অভিনেতা ও নির্দেশক পঙ্কজ মুন্সি, নাট্য সমালোচক রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়, পরিচালক দর্গ চক্রবর্তী ও অরবিন্দ ঘোষ, অভিনেতা দেবদূত ঘোষ এবং পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় পর্বে মঞ্চস্থ হয় সংস্থার নতুন নাটক আশাপূর্ণা দেবীর গল্প অবলম্বনে ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য’র রচনা ও নির্দেশনায় কৈলাসে চা পান। দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হন অভিনেতা গৌতম মুখোপাধ্যায়। তৃতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব লোককৃষ্টি নাট্যদলের কর্ণধার ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায় এবং তরুণ নাট্য ব্যক্তিত্ব চাকদহ নাট্যজন সংস্থার কর্ণধার সুমন পালকে। 
উৎসবে খাবার
‘আশ্বিনের মাঝামাঝি, উঠিল বাজনা বাজি’ কিংবা ‘এসেছে শরৎ হিমের পরশ লেগেছে হাওয়ার ’পরে...’ আশ্বিন মাস এলেই রবি ঠাকুরের কবিতার কলিগুলি মনের মধ্যে একটা ছবি এঁকে দেয়। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে কাশের মেলা। তবে এ বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য ‘শিউলির ডালে কুঁড়ি ভরে এলো’ কিনা জানা নেই। বরষণ শেষে মেঘেরা ছাড়া পায়নি। এখনও গগনে মেঘের গর্জন শোনা যাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরও আগাম সন্দেশ জানিয়ে দিয়েছে উৎসবের আঙিনায় বর্ষার বাড়বাড়ন্ত থাকবে। তা থাকুক। উৎসব এখন দুয়ারে। বিভিন্ন দোকানে, মলে, রেস্তোরাঁ আলো ঝলমল। বাজছে ঢাক। আবার কোথাও-কোথাও বীরেন ভদ্রের উচ্চারণ কিংবা উৎসবের গান। ইতিমধ্যে প্রচার ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে অফারের ছড়াছড়ি। টালা থেকে টালিগঞ্জ, বালি থেকে বালিগঞ্জ— সর্বত্র দোকানিদের মধ্যে ক্রেতা টানাটানি। তেমনি ব্যস্ততা খানাপিনার দোকানে। উৎসবের দিনগুলিতে রেস্তোরাঁর ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। থাকে নানান অফার। হ্যাঁ, এ বছরও উৎসবের চারদিন এবি বারবিকিউ’স তাদের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন এনেছে। বিরিয়ানি থেকে মাছের নানা পদ। থাকছে বাহারি নিরামিষের থালিও। রকমারি মিষ্টি। জিভে জল আসা তালিকা। কলকাতার তাঁদের পাঁচটি আউটলেটে গেলেই মিলবে অফার।
দিশা সম্মান
বাধ সেধেছিল অতিমারী। তাই দু’বছর কর্মসূচি হয়নি। এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ফের আলোকের ঝরনাতলায় ‘দিশা’ আই হাসপাতাল। পঞ্চম বর্ষের সম্মাননা অনুষ্ঠানে এবার যাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাঁরা আক্ষরিক অর্থে সরাসরি কিছুই দেখতে পারেন না। সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন। তবে দেখেন অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে। প্রকৃতির রূপ রস গন্ধকে অনুভব করেন হৃদয় দিয়ে। আর পাঁচজনের মতোই তাঁদের জীবনযাত্রা। চলার পথে একটু অবলম্বন থাকে ঠিকই তবে এঁরা প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে এক একজন প্রকৃতই গুণী, উজ্জ্বল। দিল্লিবাসী দৃষ্টিহীন দিবাকর শর্মা একজন সঙ্গীতশিল্পী। ত্রিশের মধ্যে বয়স। তাঁর গানে মুগ্ধ বলিউডের তামাম শিল্পীরা (তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে)। তাঁকে দেওয়া হলো সম্মান। তিনি ‘বন্ধুর’ অতিক্রম করে কীভাবে কণ্ঠশিল্পী হয়ে উঠলেন, প্রত্যয়ী সুরে তা তুলে ধরলেন। সেভাবে উত্তর কলকাতার দৃষ্টিহীন নাটকের দল ‘শ্যামবাজার অন্যদেশ’ এবং ‘ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ব্লাইন ইন বেঙ্গল’কেও দিশা সম্মান দেওয়া হয়। দৃষ্টিহীন ফুটবলার গৌতম দে তাঁদের কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন সুন্দর বাচনে। বলেন, ‘বাংলার দৃষ্টিহীন ফুটবলারদের আমাদের এই সম্মান অর্পণ করলাম। আরও ভালোবাসা, সহায়তা পেলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারব।’ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়, ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, অলভিটো প্রমুখ সম্মানিত হন। ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য, ডাঃ সমরকুমার বসাক, ডাঃ তুষারকান্তি সিনহা, দেবশিস সেন প্রমুখ কৃতীদের সম্মানিত করেন। পরিশেষে দর্শকদের প্রাপ্তি ছিল ‘রক্তকরবী’ শ্রুতি নাটক এবং দিবাকর শর্মার প্রাণখোলা গান। 
পত্রিকা প্রকাশ
গোপাল বিশ্বাস সম্পাদিত পূষা চতুর্মাসিক সাহিত্য পত্রিকার শারদ সংখ্যা প্রকাশ উপলক্ষে বাংলা কবিতা উৎসবে শতাধিক কবি সাহিত্যিক অংশগ্রহণ করেন। সম্প্রতি কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল সভাঘরে কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, পুরুলিয়া, বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪পরগনা সহ রাজ্যের নানা জায়গা থেকেও কবিরা এসেছিলেন। কবিতা পাঠ ও সঙ্গীতে অবদান রাখেন কৃষ্ণা বসু, কমল দে শিকদার, সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ, দিলীপ সাঁতরা, বিভু মুখোপাধ্যায়, রাম পাত্র, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, আরতি দে, শিবনাথ মণ্ডল, মিলি দাস প্রমুখ।
 

Comments :0

Login to leave a comment