শুরুর প্রবণতা ধরে রাখতে বেগ পাচ্ছে বিজেপি। সময় যত গড়াচ্ছে এগিয়ে থাকা আসন বাড়ছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের। লক্ষ্যণীয় প্রবণতা রয়েছে তিপরা মোথার পক্ষেও।
বৃহস্পতিবার ইভিএম’র সিল ভাঙার পরপরই মনে করা হচ্ছিল বিজেপি’র জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা। তা হচ্ছে না। ওঠানামা চলছে। মাঝে কিছু সময় ৩০ আসনের নিচে নেমে গিয়েছে বিজেপি’র ‘লিড’। ত্রিপুরায় বিধানসভার মেট আসন ৬০।
মাসখানেক আগেও ত্রিপুরায় স্বচ্ছ এবং স্বাধীন মতদানের পরিবেশ ছিল না। রাজ্যে সংবিধানের প্রয়োগ, গণতান্ত্রিক অধিকার এবং আইনের শাসন ফেরানোর লক্ষ্যে প্রথমবার আসন সমঝোতা করে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস।
তিপরা মোথা সরাসরি সমঝোতা না করলেও ভোটের প্রচারে বিজেপি’কে হটানোর লক্ষ্যকেই প্রধান বলে ঘোষণা করেছে সরাসরি। বাম-কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচারে মোথার নেতাদেরও দেখা গিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বেলা সোয়া বারোটার আপডেটে জানাচ্ছে, বামফ্রন্টের পক্ষে ভোট শতাংশ ২৬.৮২। তার মধ্যে সিপিআই(এম)’র পক্ষে মতদান ২৪.২২ শতাংশ। কংগ্রেসের ভোটের হার ৯.৩১ শতাংশ।
বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস মিলিয়ে ভোটের হার ৩৬.১৩ শতাংশ।
অন্যান্য ২০.১৭ শতাংশ ভোটের হার দেখাচ্ছে কমিশন। এর মধ্যে বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিপরা মোথা রয়েছে।
বিজেপি’র ভোটের হার ৪০.১৩ শতাংশ। আইপিএফটি’র ১.৩৩ শতাংশ।
বিজেপি’র পাঁচ বছরের শাসনে প্রতিশ্রুতি ভাঙার অভিযোগ তুলেছে বারবার বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। কিন্তু তার চেয়েও বড় হয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর আক্রমণ। সেই বিচারেই এই লড়াইকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ত্রিপুরায় ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্বাচনে নামলেও একটি আসনও পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট ১ শতাংশেরও কম, ০.৮৬ শতাংশ।
Comments :0