Trump Inaugration

সেই জিগির তুলেই শপথ ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক

দায়িত্ব নিয়ে সেই আগ্রাসী আমেরিকা ‘ফিরিয়ে আনার’ ভাষণ দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাষ্ট্রপতি পদে ফের শপথ নিলেন ছিলেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন সদ্য প্রাক্তন জো বাইডেন এবং ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসও। 
ট্রাম্প বলেছেন ‘আমেরিকার প্রতারিত হওয়ার দিন শেষ’। নির্বাচনী প্রচারের রেশ টেনেই প্রতারণার জন্য দায়ী করেছেন অভিবাসী শ্রমজীবীদের। এই অংশের মধ্যে অভিবাসীদের শত্রু করে দেখার কৌশলের প্রচার চালিয়েছেন নির্বাচনেও। বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি, বাজার অর্থ নীতির বিশ্বময় সঙ্কটকে আড়াল করে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’-র জিগিরই ধ্বনিত হয়েছে ট্রাম্পের শপথভাষণে। 
তাঁর রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকরা স্লোগান তুলেছেন ‘ইউএসএ, ইউএসএ’। ট্রাম্প বিচার ব্যবস্থায় সংস্কারের কথাও বলেছেন। তাঁকে বিচারব্যবস্থার মুখে ফেলার ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধির’ অভিযোগই কার্যত তুলেছেন ঘুরিয়ে। অথচ, নিজের আয় আড়াল থেকে নারী নির্যাতন এবং তা চাপা দেওয়ার জন্য অর্থ দেওয়ার দায় রয়েছে মাথার ওপর। তিনিই আমেরিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি যাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধে শাস্তি ঘোষিত হয়েছে। 
ট্রাম্প শপথ নিয়েছে সারা বিশ্বে উগ্র দক্ষিণপন্থী শক্তিকে উৎসাহ জুগিয়ে। অংশও নিয়েছেন সারা বিশ্বের দক্ষিণপন্থী রাষ্ট্রনেতারা। ভারতের পক্ষে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 
শুল্কের দেওয়ার তুলে অন্য দেশের রপ্তানি আটকানো, অভিবাসীদের সীমান্তের ওপারে পাঠানো, কড়া অভিবাসন নীতির স্লোগান তিনি তুলছেন গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। কানাডাকে আমেরিকার একান্নতম প্রদেশ করার হুঁশিয়ারি, গ্রিনল্যান্ড দখল, মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলের মতো আগ্রাসী লষ্য ঘোষণা করছেন তাঁর সমর্থকদের মধ্যে জিগির বজায় রাখার লক্ষ্যেই। এদিন শপথ ভাষণেও শোনা গিয়েছে তার অনুরণন। 
ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকাকে ফের মহান করার জন্য ঈশ্বর আমায় রক্ষা করেছেন। নির্বাচনী রায় আমেরিকার প্রতি ভয়াবহ বিশ্বাসঘাতকতার নীতিকে সম্পূর্ণ উলটে দেওয়ার রায়। সেই কাজই হবে।’

Comments :0

Login to leave a comment