US GDP

ধাক্কা আমেরিকাতেই, উৎপাদন কমায় এখন বাইডেনকে দায়ী করছেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক

বছরের প্রথম তিন মাসে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কমতেই জো বাইডেনের ঘাড়ে দোষ চাপালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। 
আমেরিকার সরকারি হিসেবেই ধরা পড়েছে ট্রাম্পের নীতির ফল। জানুয়ারি থেকে মার্চে উৎপাদন ০.৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। গত তিন বছরে কোন ত্রৈমাসিকে উৎপাদন হ্রাসের ছবি দেখা যায়নি। 
সরকার গড়ার পর থেকেই ট্রাম্প চড়া শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন। ব্যবসায়ী এবং নির্মাতারা অতিরিক্ত শুল্কের ভয়ে বিদেশি পণ্যের আমদানিতে প্রবল জোর দিয়ে ফেলেছিলেন। আমদানি বেড়ে গিয়েছে ৪১ শতাংশ। 
জিডিপি বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হিসেব করা হয় দেশের ভেতর পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনের নিরিখে। শুল্কের ভয়ে আমদানি সেটিই কমিয়ে দিয়েছে। 
ঠেলায় পড়ে ট্রাম্প বলেছেন, “এই হিসেবের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের কোন সম্পর্ক নেই। আসলে আগের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন আমাদের উপরে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন। আগে সেই বোঝা ঘাড় থেকে নামাতে হবে। আবার জোয়ার আসবে। ধৈর্য ধরতে হবে।”
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিপদ আরো বাড়তে পারে। দেশের ভেতর বিকল্প না থাকলে বাইরে থেকে আমদানি করতেই হবে। ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের ঠেলায় আমদানির খরচ বাড়বে। দেশের ভেতর জিনিসের দামও বাড়বে। সেই ভয়ে ক্রেতারাও জিনিসপত্র কিনছেন কম। কাজ, রোজগার এবং মূল্যবৃদ্ধি- এই তিন দিকেই ধারণা নেতিবাচক। অর্থনীতির চাহিদা কমে যেতে পারে। 
সরকারি হিসাব জানিয়েছে গত বছরের শেষ তিন মাসে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির হার ছিল ২.৪ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে মার্চে ০.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ক্রেতা সাধারনের খরচ ১.৮ শতাংশ হারে কমেছে। আর সরকার নিজের খরচ ৫.১ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। 
উৎপাদন হ্রাসের তথ্য বের হতেই শেয়ার বাজারে সূচক গেছে নেমে। ট্রাম্প শুল্ক যুদ্ধ শুরু করেছিলেন ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বলে। কিন্তু সে নীতিতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেল আমেরিকা নিজেই।

Comments :0

Login to leave a comment