কর্মহীনতার হার আবার বাড়লো ফেব্রুয়ারিতে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিএমআইই’র সমীক্ষা জানাচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে কর্মহীনতার হার জানুয়ারির তুলনায় বেশি।
সমীক্ষার তথ্য, জানুয়ারিতে কর্মহীনতার হার ছিল ৭.১৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৪৫ শতাংশে। শহরে কর্মহীনতার হার খানিক কমেছে। জানুয়ারিতে তা ছিল ৮.৫৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে হয়েছে ৭.৯৩ শতাংশ। গত বছর ডিসেম্বরে ছিল ১০.০৯ শতাংশ।
কিন্তু গ্রামাঞ্চলে কর্মহীনতার হার বেড়ে গিয়েছে। জানুয়ারিতে গ্রামে কর্মহীনতার হার ছিল ৬.৪৮ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে হয়েছে ৭.২৩ শতাংশ। ব্যবসায়িক সংবাদপত্র ‘ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’-কে সিএমআইই’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস বলেছেন, ‘‘লক্ষ্য করার বিষয় হলো কাজের বাজারে অংশগ্রহণের হার জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে। ৩৯.৮ শতাংশ থেকে হয়েছে ৩৯.৯২ শতাংশ।’’
মোটের বিচারে কর্মহীন মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। কর্মক্ষম অংশের মধ্যে কাজের বাজারে নাম লিখিয়েছেন বা কাজ খুঁজছেন এমন অংশের মধ্যে কর্মসংস্থান এবং কর্মহীনতার সমীক্ষা হয়। প্রায় চার দশক দেশে সর্বোচ্চ কর্মহীনতার হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। কোভিডের আগেই সেই হার ছাড়িয়ে যায় ২০১৮’তে। ২০১৯’র লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় পরিসংখ্যান সংগঠন বা এনএসও’র এই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেনি বিজেপি সরকার।
প্রতি মাসে কর্মহীনতার তথ্য প্রকাশ করছে বেসরকারি সংস্থা সিএমআইই। সরকার প্রতি মাসে তথ্য প্রকাশ করে না। কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রক শেষ রিপোর্টে জানায় যে গত বছরে অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে কর্মহীনতার হার ছিল ৭.২ শতাংশ। মন্ত্রক সাফল্যের দাবি জানায়। পর্যায়ক্রমিক শ্রম শক্তি সমীক্ষা বা পিএলএফএস’র প্রতিবেদনে জানানো হয় ২০২১’র তুলনায় গত বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে এই হার ছিল ৮.৭ শতাংশ।
তথ্য দেখাচ্ছো গ্রামে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে। জানুয়ারিতে কাজের জন্য ২ কোটি ৫৯ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লক্ষ।
আগামী অর্থবর্ষ, ২০২৩-২৪’র বাজেটে যদিও তিনভাগের প্রায় একভাগ বরাদ্দ কমানো হয়েছে গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে।
Comments :0