পুরুলিয়ার কোটশিলা বনাঞ্চলে বন দপ্তরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ল চিতা বাঘের নতুন ছবি। বনদপ্তরের দাবি এই মুহূর্তে ওই বনাঞ্চলে মোট পাঁচটি চিতাবাঘ রয়েছে। নতুন যে অতিথি চিতাবাঘকে সেখানে দেখা যাচ্ছে সেটা পুরুষ না মহিলা সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কারণ প্রবল বৃষ্টিতে পায়ের চাপ মুছে যাচ্ছে। বনদপ্তর থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে পুরুষ ও স্ত্রী চিতার অবাধ বিচরণ। বনদপ্তর এর দাবি কোটশিলা বনাঞ্চল এখন চিতা বাঘের ঘর সংসার বানিয়ে ফেলেছে। বনদপ্তরের ডি এফ ও অঞ্জন গুহ জানিয়েছেন তিন বছর আগেই কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটে ছোট ছোট পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে জানা গিয়েছিল পূর্ণবয়স্ক একটি পুরুষ এবং মহিলা চিতা বাঘ রয়েছে। পরে তাদের দুটি বাচ্চাও হয়েছিল
এই মুহূর্তে আরেকটি নতুন পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাতে বোঝা যাচ্ছে নতুন কারো আগমন হয়েছে অর্থাৎ এই মুহূর্তে মোট পাঁচটি চিতা বাঘ সেখানে রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন বসবাসের উপযুক্ত মনে করেছে বলে চিতা বাঘ এখানে এই জায়গাটাকে আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছে। নতুন যে চিতা বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে সেটি পুরুষ না মহিলা চিতাবাঘ তা কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা যাবে।
একসময় সিমনি বিট এলাকার জঙ্গলে গিয়ে একাধিক গবাদি পশু নিখোঁজ হয়ে যেত। পরবর্তী সময়ে তাদের হাড়গোড় বা খোবলানো দেহ পাওয়া যেত। গবাদি পশুর ক্ষুবলে খাওয়া মৃতদেহ দেখে বনদপ্তরের সন্দেহ হয়েছিল যে সেখানে হয়তো চিতাবাঘের আগমন ঘটেছে। পাওয়া গিয়েছিল একাধিক পায়ের ছবি। এরপরেই বনদপ্তর সেখানে ট্রাপ ক্যামেরা বসায়। ২০২২ সালে তাতেই একটি পূর্ণবয়স্ক চিতা বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। কিছুদিন পরে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতা বাঘের ছবি ও ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। ২০২৩ এ দুটি শিশু চিতা বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল ট্র্যাপ ক্যামেরায়। তারপরই সেই এলাকায় নজরদারি বাড়ায় বন বিভাগ। বাবা-মা ও দুই সন্তানের পাশাপাশি এবার সেখানে ঠিক নতুন অতিথির আগমন ঘটেছে বলে বন দপ্তরের অনুমান।
Comments :0