বাংলার শ্রমজীবী মানুষই কেবল নন, কোভিড পর্বে তীব্র নিপীড়নের শিকার দেশ এবং বিশ্বের শ্রমজীবীরা। কোভিডবিধিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকার কর্পোরেটের মুনাফার পথ চওড়া করেছে।
সোমবার জলপাইগুড়িতে রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির সম্মেলনে এ কথা বলেছেন সিআইটিইউ সর্বভারতীয় সভানেত্রী কে হেমলতা। পুলিশের নিপীড়নের মধ্যেও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে শামিল হওয়ার জন্য রাজ্যের সরকারি কর্মচারী আন্দোলনকে অভিনন্দন তিনি।
প্রতিরোধের পথনিশানা তৈরিতে জোট বেঁধে আন্দোলনে জোর দিয়েছেন হেমলতা। তিনি বলেছেন যে শ্রমজীবীদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তা, মতাদর্শে বিশ্বাস করেন এমন মানুষ রয়েছেন। কিন্তু নিপীড়ন এবং শোষণের অভিজ্ঞতা প্রত্যেকের এক। শাসকের নিপীড়নের বিরোধিতাকে ভিত্তিতে করে শ্রমজীবীর মধ্যে ঐক্য গড়া প্রয়োজন। তিনি জানিয়েছেন, সর্বভারতীয় স্তরে এই লক্ষ্যে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন এবং কর্মচারী ফেডারেশন অভিন্ন লড়াইয়ে জোট বাঁধছে।
কোভিড পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘দেশে বিজেপি সরকার এই পরিস্থিতিতেই বিনা আলোচনায় সংসদে পাশ করিয়েছে শ্রম কোড আইন। বিরোধী সাংসদদের সংসদীয় প্রথা অনুযায়ী বিরোধিতার সুযোগও দেওয়া হয়নি। কোভিড কড়াকড়িকে ব্যবহার করে মুনাফার রাস্তা আরও চওড়া করার ব্যবস্থা হয়েছে হাতে গোনা কর্পোরেট গোষ্ঠীগুলির জন্য।’’
পরিযায়ী শ্রমিকদের যন্ত্রণা মনে করিয়েছেন তিনি। হেমলতা বলেছেন, ‘‘তাঁদের কাজ চলে গিয়েছে, আশ্রয় চলে গিয়েছে। তাঁদের বাড়ি ফেরার কোনও বন্দোবস্ত করেনি সরকার। শয়ে শয়ে মাইল পায়ে হেঁটে ফিরতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, মারাও গিয়েছেন রাস্তায়।’’
Comments :0