এই ব্রিগেড খেতে খাওয়া মানুষের ব্রিগেড। এই মানুষদের মোদী মমতা ভয় পায়। মহিলাদের সম্মান নেই। কৃষকরা আত্মহত্যা করছে। বিধানসভা, লোকসভায় এই নিয়ে আলোচনা হয় না। আলোচনা হয় বিধায়ক সংসদের মাইনে নিয়ে। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে কথাগুলি বললেন সারা ভারত ক্ষেতমজুর উইনিয়নের রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সর্দার। তিনি বলেন, বামফ্রন্ট যখন রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তখন রাজ্যে স্কুল নেই, কৃষকের জমি নেই। তারপর সরকার সেই জমি কৃষকদের দিল। তাঁরা গতর দিয়ে এই রাজ্যকে প্রথম স্থানে নিয়ে গেলো। আজ তাঁরা কাজ পায়না। গরিবদের কাজের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয় না লোকসভা রাজ্যসভা ও বিধানসভায়। ৬৪ জন বাম সংসদ ১০০ দিনের কাজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। সর্দার বলেন, মোদী রেগার টাকা কমাচ্ছে। আদিবাসীদের জমি লুঠ করে জঙ্গল পাহাড় কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা বলছি মজুরি বৃদ্ধি করে ৬০০ টাকা দাও। ২০০ দিনের কাজ করো। মানুষের হাতে টাকা থাকলে তবে তারা ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারবে। আর এই দুই সরকার চায়না গরিবরা স্কুলে যাক। ওরা জানে স্কুলে গেলে সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে তাই ওরা স্কুল বন্ধ করছে।
নিরাপদ সর্দার বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমূল নেতা কর্মীরা টাকা চুরি করেছে আর বিজেপি টাকা আটকে রাখছে। আইন অনুযায়ী ৩ মাসের বেশি টাকা আটকে রাখা যায় না। গরিব মানুষ যখন আওয়াজ তুলছে তখন দাঙ্গা করে তাদের আলাদা করতে চাইছে, তাই মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা। সর্দার বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কর্মশ্রী করবে। উনি মিথ্যে বলছেন। আমাদের বুথে বুথে লড়াই করতে হবে, জমি লুঠ আটকাতে হবে। সব মহিলারা যাতে লক্ষীর ভান্ডার পায় তার জন্য আন্দোলন করতে হবে। এই ব্রিগেড গরিব মানুষের ক্ষমতা বাড়াবে। লাল ঝান্ডা বাড়লে গরিব মানুষ ভালো থাকবে।
BRIGADE
বুথে বুথে লড়তে হবে, জমি লুট রুখতে হবে ব্রিগেড সমাবেশে নিরাপদ সর্দার

×
Comments :0