চন্ডীগড় পৌরসভার মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মামলা গ্রহন করলো সুপ্রিম কোর্ট। চন্ডীগড় পৌরসভার মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয় আপ এবং কংগ্রেস কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে। পাজ্ঞাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালেত তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়। শুক্রবার দুই দলের কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আবেদন করা হয়। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে মামলা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আপের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে নতুন করে মেয়র নির্বাচন করার। আপের আইনজীবীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে তাদের কাছে একটি ভিডিও এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে এক নির্বাচনী আধিকারিক ব্যালট পেপার নষ্ট করছেন।
৩৫ আসন বিশিষ্ট চন্ডীগড় পৌরসভার ২০ টি আসন কংগ্রেস এবং আপের দখলে। বিজেপির দখলে ১৫টি।
কংগ্রেস এবং আপ যৌথ ভাবে মেয়র নির্বাচনে অংশ নেয়। আপের পক্ষ থেকে ময়র পদে লড়াই করা হয়। দুই ডেপুটি মেয়র পদে প্রার্থী দেয় কংগ্রেস। জোটের তরফে মেয়র পদপ্রার্থী ছিলেন আপের কুলদীপ কুমার টিটা। বিজেপি প্রার্থী ছিলেন মনোজ সোনকরকে।
আগেই আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা জানিয়ে ছিলেন যে দুই দল একসাথে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে এই নির্বাচনে। সংখ্যা যা ছিল তাতে জয়ী হওয়ার কথা বিরোধীদেরই। কিন্তু ঘটে উল্টো ঘটনা।
প্রত্যাশা মতো বিজেপি প্রার্থী পায় ১৫টি ভোট। আপের প্রার্থী পায় ২০টি ভোট। কিন্তু হঠাৎ করে আপ প্রার্থীর ৮টি ভোট বাতিল করে দেওয়া হয়। তার সংখ্যা কমে হয় ১২। স্বাভাবিক ভাবে জয়ী হয় বিজেপি। কি কারণে ভোট বাতিল করা হলো তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
২০২১ সালে চন্ডীগড় কর্পোরেশনে নির্বাচন হয়। ৩৫ আসনের মধ্যে আপ জেতে ১৪ আসনে, বিজেপি জয়ী হয় ১২ আসনে এবং কংগ্রেস জেতে ৮টিতে। বিজেপির জোটসঙ্গী আকালি দল জেতে ১টি আসনে। পরবর্তীকালে ১ কংগ্রেস কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আপ-কংগ্রেস জোটের হাতে রয়েছে ২০টি আসন। অপরদিকে বিজেপির হাতে রয়েছে ১৫টি। বড়সড় কোনও অঘটন না ঘটলে এই অঙ্কে জোটের কাছে মেয়র পদ হারাতে চলেছে বিজেপি।
২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি চন্ডীগড়ে মেয়র নির্বাচন হয়। হাতে পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকলেও,কার্যত গায়ের জোরে মেয়র পদ দখল করে বিজেপি। সেই ফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যায় আপ। পরবর্তীকালে মেয়রের আসন সংরক্ষিত হয়। তারফলে সরে দাঁড়াতে হয় বিজেপি’র মেয়রকে।
Comments :0