রাজ্যের জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ অত্যন্ত অনগ্রসর সম্প্রদায় বা ইবিসি (এক্সট্রিমলি ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস)। অনগ্রসর অংশ বা ‘ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস’-র হার ২৭.১ শতাংশ। এই দুই অংশই ওবিসি’র অন্তর্ভুক্ত।
সারা দেশেই জাতভিত্তিক এবং অর্থনৈতিক সমীক্ষা করার দাবি তুলেছে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’। বিজেপি এই দাবির বিপক্ষে। এমনকি বিহারে সমীক্ষা বন্ধ করতে এবং সমীক্ষার ফল প্রকাশ আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে সওয়ালও করেছেন কেন্দ্রের আইনজীবিরা।
বিহারের মোট জনসংখ্যার ১৯.৭ শতাংশ তফসিলি জাতি। উচ্চবর্ণ মাত্র ১৫.৫ শতাংশ। সরকারি তথ্য বলছে, ১৩.১ কোটি জনসংখ্যার রাজ্যে আদিবাসী বা এসটি জনগোষ্ঠী ১.৭ শতাংশ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে সব থেকে বড় ‘সাব-গ্রুপ’ হলো যাদব জনগোষ্ঠী, জনসংখ্যার ১৪.২৭ শতাংশ। প্রসঙ্গত, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, আরজেডি’র প্রতিষ্ঠাতা লালুপরসাদ যাদব এই জনগোষ্ঠীর।
দীর্ঘদিন ধরেই বিহার সহ দেশের নানা প্রান্তে জাতি ভিত্তিক জনগণনার তথ্য সামনে আনার দাবি জানানো হয়েছে। এই অংশের দাবি, ওবিসি বা পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়ের জন্য মোট সংরক্ষণের মাত্র ২৭ শতাংশ বরাদ্দ থাকলেও, বাস্তবে তাঁদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সদ্য প্রকাশিত সরকারি তথ্যে সেই দাবি স্পষ্ট হয়েছে। দেখা বিহারের মোট জনসংখ্যার মধ্যে গিয়েছে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস এবং এক্সট্রিম ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসের সংখ্যা ৬৩.১ শতাংশ। ফলে সংরক্ষণ ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাসের দাবি জোরালো হয়েছে।
এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে একটি পোস্ট করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি গান্ধী জয়ন্তীর দিনে এই তথ্য প্রকাশের জন্য বিহার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি বিহার বিধানসভার ৯’টি দলকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। সেখানে এই রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
কুমার জানিয়েছেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। কয়েক দশকের সংগ্রামের ফলে এই দিনটি সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে বিহার সরকারের নীতি এবং দৃষ্টিভঙ্গী এই রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিফলিত হবে।
লালু প্রসাদ যাদবও গান্ধী জয়ন্তীর দিনে এই রিপোর্ট প্রকাশকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এক্সে’র পোস্টে লিখেছেন, ‘‘বিজেপির ষড়যন্ত্র, আইনী বাধা এবং অন্যান্য প্রতিকূলতা ইতিক্রম করে বিহার সরকার আজ জাতি ভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।’’
Comments :0