মীর আফরোজ জামান: ঢাকা
গোপালগঞ্জে উত্তেজিত জনগণকে দমনের নামে সরকারি বিভিন্ন বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণের চালিয়েছে। নিহত এবং আহত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। সরকারি বাহিনীর ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের জেরে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলায় কারফিউ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, এই ঘটনার দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে। বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল, যাদের নথিভুক্তি হয়নি, তারা রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কর্মসূচি পালনের নামে উস্কানি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জবাসী প্রতিবাদ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা হয়। কর্মসূচি থেকে আওয়ামি লিগ এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘিরে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ এবং বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ। বাংলাদেশে ইউনুস সরকারের অনুগামীদের একটি অংশের তৈরি রাজনৈতিক দল এনসিপি বুধবার গোপালগঞ্জে সভা ডেকেছিল।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি অবশ্য প্রশাসনের সমালোচনার পাশাপাশি আওয়ামি লিগ সমর্থকদের কড়া নিন্দা করেছে।
গত বুধবার বিক্ষোভের জেরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আটকা পড়েন এনসিপির নেতারা। পরে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়িতে গোপালগঞ্জ থেকে সরানো হয় তাঁদের। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম পরে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন যে প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা ’সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ’ নিলে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে না। গোপালগঞ্জকে ‘চিরতরে মুজিববাদ মুক্ত’ করার হুমকি দেন তিনি।
সংঘাতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনীর পক্ষে বলা হয়েছে সেনাবাহিনী মাইকে বারবার ঘোষণা করে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তারা সেনাবাহিনীর ওপর হামলা হয়।
গোপালগঞ্জের ঘটনায় কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
Comments :0