নির্বাচন পর্ব মিটলেও সন্ত্রাসের রাস্তা ছাড়তে নারাজ বিজেপি। বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবারও ত্রিপুরা জুড়ে একাধিক জায়গায় সিপিআই(এম),কংগ্রেস সহ বিরোধী এবং সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়েন মানুষ।
শুক্রবার পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় জিরানীয়ার মান্দাই চৌমুহনীতে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে বিগত মন্ত্রী সভার সদস্য সুশান্ত চৌধুরীর দলবল। তাঁর বাহিনী বাম কর্মীদের পাশাপাশি বেশ কিছু বিজেপি সমর্থকের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত বিজেপি সমর্থকরা জানাচ্ছেন, বিজেপির সন্দেহ, তাঁরা বিজেপির বদলে সিপিআই(এম) প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। এদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভরসা যোগান ওই কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী মানিক দে। এছাড়া সত্যজিৎ দে নামে এক স্থানীয় যুবকের অটো ভাঙচুর করে বিজেপি কর্মীরা।
এদিন আগরতলা জিবি হাসপাতালে ভর্তি আহত বামকর্মী সহ সাধারণ মানুষকে দেখতে যান সিপিআই(এম)’র পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।
এছাড়া কমলপুর, খোয়াই, শান্তিরবাজার, বিশালগড়, রাণীর বাজার প্রভৃতি এলাকা থেকেও বিজেপির তান্ডবের খবর মিলেছে। সোনামুড়ায় সিপিআই(এম) কর্মী সফিকুর রহমানের রাবার বাগানে আগুন ধরিয়ে দেয় বিজেপি কর্মীরা।
শুক্রবার রাতে আগরতলার বিবেকানন্দ আবাসনে হামলা চালায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। আবাসিকরা কেন কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন, এই আক্রোশে হামলা চলে বলে অভিযোগ। যদিও মহিলারা এই ঘটনার প্রতিরোধ করেন। পরবর্তীকালে পুলিশ এসে কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একটি তাজা বোমাও উদ্ধার হয়। আটক কর্মীদের ছাড়াতে থানা ঘেরাও করে বিজেপি। তাতেও কাজ না হওয়ায় পথ অবরোধ করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের।
খোয়াইয়ে গন্ডগোল পাকাতে গিয়ে শুক্রবার জনতার প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় বিজেপিকে। বিজেপির দাবি, এই ঘটনায় তাঁদের ১১জন কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া সোনামুড়ার কাঁঠালিয়ায় নির্বাচন কমিশনের একটি গাড়িতেও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
Comments :0