TRIPURA ELECTION VIOLENCE

ত্রিপুরায় লুট হয়েছে গণতন্ত্র, বিবৃতি দিল পলিটব্যুরো

জাতীয়

CPIM BJP RSS TMC WEST BENGAL POLITICS BENGALI NEWS TRIPURA ELECTION CONGRESS ত্রিপুরার ভোট সন্ত্রাসে আহত বামকর্মী

সরকারি ব্যবস্থাপনায় অভূতপূর্ব কারচুপি করা হয়েছে ত্রিপুরার বক্সনগর এবং ধনপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে। প্রহসনে পরিণত হয়েছে গোটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। অবিলম্বে এই নির্বাচনকে বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন করতে হবে ত্রিপুরায়। মঙ্গলবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানাল সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। 

মঙ্গলবার ধনপুর এবং বক্সনগরে উপনির্বাচন হয়। ত্রিপুরায় সরকারে আসীন বিজেপি। তুমুল কারচুপির প্রতিবাদে ওইদিনই নির্বাচন বাতিল করার দাবি তোলেন ত্রিপুরার বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। বুধবার পলিট ব্যুরোও সেই দাবি তুলেছে। একের পর এক এলাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তাঁরা। সিপিআই(এম) ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির ফেসবুক পেজে ভোট কারচুপির ভিডিও দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে পলিট ব্যুরো বলেছে, সাধারণ মানুষ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হয়। সিপিআই(এম)’র পোলিং এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বক্সনগরে মাত্র ১৬জন এবং ধনপুরে ১৯ জন সিপিআই(এম) এজেন্ট বুথে ঢুকতে পারেন। যদিও সকাল ১০টার মধ্যে তাঁদেরও জোর করে বের করে দেওয়া হয়। 

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য, ভোট কারচুপিতে জড়িত সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের পরবর্তী নির্বাচনের সময় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে রাখার দাবিও জানিয়েছে সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো। সন্ত্রাসে দায়ী সমাজবিরোধীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তিরও দাবিও জানিয়েছে সিপিআই(এম)। 

মঙ্গলবারই পার্টির ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ জানান, ১০০ শতাংশ বুথে রিগিং করেছে বিজেপি। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেননি। সিপাহিজলা জেলার পুলিশ সুপার সামনে থেকে ভোট লুটের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যান্য আধিকারিকরাও নানাভাবে শাসকদলকে সাহায্য করেছে। একাধিক মন্ত্রী নিয়ম বহির্ভূত ভাবে দুই কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে জনমতকে লুট করেছেন। তাই এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে ত্রিপুরাবাসীকে। 

কংগ্রেসের তরফেও ভোট লুটের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। ধনপুর এবং বক্সনগর কেন্দ্রে কংগ্রেস সিপিআই(এম) প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। 

Comments :0

Login to leave a comment