নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পার। তবু কমছে না ডেঙ্গু। রাজ্যে আক্রান্ত ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মোকাবিলা কিভাবে বিশদে জানাচ্ছেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় -
১. বাড়ির ভিতরে ও আশেপাশে কোথাও এতটুকুও জল জমতে দেবেন না
২. অন্ততঃ সাতদিনে একবার জমা জল ফেলে, পাত্র ঘষে মেজে পরিষ্কার করুন
৩. কুয়ো, চৌবাচ্চাসহ যেখানকার জল ফেলা যায় না, তার মুখ মশারি দিয়ে বন্ধ রাখুন বা জলের উপর পোড়া মোবিল জাতীয় তেল ছড়িয়ে দিন।
৪. পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে ও প্রতি পঞ্চায়েতে নর্দমা পরিষ্কার, জঞ্জাল সাফাই ও মশানিধনের জন্য কর্মী রয়েছেন, তাঁদের নামের তালিকা, ফোন নম্বর প্রকাশ্যে থাকার কথা। তাঁরা দৈনিক ঠিকমত কাজ করছেন কিনা নজর করুন।
৫. দু'দিনের বেশি জ্বর (সঙ্গে গা-হাত-পায়ে, গাঁটে-গাঁটে বা চোখের পিছনে ব্যথা, বমি-বমি ভাব, গায়ে লালচে র্যাশ থাকতে পারে) হলেই অবহেলা না করে ডেঙ্গু পরীক্ষা করিয়ে নিন।
ডেঙ্গু হলে কী করণীয় -
১. অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু বাড়িতেই সেরে যায়। বেশি করে জল ও অন্যান্য তরল খাদ্য খেতে হবে।
২. জ্বরের জন্য শুধুমাত্র প্যারাসেটামল (প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১০-১৫ মিঃগ্রাঃ হিসাবে সারাদিনে চারবার অব্দি) খেতে হবে। বমি পেলে বমির ওষুধ চলবে।
৩. জ্বরের প্রথম পাঁচদিন রোগীকে ২৪ ঘন্টা মশারির মধ্যে রাখতে হবে।
কখন হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে -
১. খুব বেশি জ্বর হলে বা সাতদিনেও জ্বর না ছাড়লে।
২. ২৪ ঘন্টায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম প্রস্রাব হলে বা টানা ৬ ঘন্টা প্রস্রাব না হলে।
৩. নাক, মাড়ি, মলদ্বার বা মূত্রদ্বার থেকে অকারণ রক্তপাত হলে।
৪. শ্বাসকষ্ট হলে বা বেহুঁশ হয়ে পড়লে।
৫. বারবার বমি হলে, পেটে ব্যথা হলে, খুব দুর্বল হয়ে পড়লে বা মাথা ঘুরলে।
Comments :0