JAYGAON RAPE MURDER

জয়গাঁয় চিকিৎসকরা, শিশুর ধর্ষণ-হত্যায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তীব্র

জেলা

জয়গাঁয় চিকিৎসক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে স্থানীয় মহিলারা।

গাফিলতি রয়েছে পুলিশের। শিশুকন্যার ধর্ষণ-খুনে তপ্ত জয়গাঁয় এই ক্ষোভ জানাচ্ছেন বাসিন্দারাই। আলিপুরদুয়ারের এই এলাকায় পরিবারের সঙ্গে গিয়ে কথা বললেন চিকিৎসকরা। 
বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের নিয়ে মিছিল করেন স্থানীয়রা। স্লোগানে সোচ্চার থেকেছেন মহিলারা। চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস’র প্রতিনিধিদল এদিন পৌঁছান জয়গার গ্রামে। ছিলেন ডাঃ পবিত্র গোস্বামী, ডাঃ প্রলয় বসু, ডাঃ পার্থ সারথি সরকার। 
এর আগে জয়নগরে নাবালিকা ছাত্রী ধর্ষণ-হত্যায় পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন চিকিৎসকরা। স্লোগান ওঠে ‘জয়গাঁ থেকে জয়নগর  অত্যাচারের প্রতিরোধ চলছে চলবে’। ‘ভয় আমরা পাচ্ছি না’। উল্লেখ্য, চিকিৎসকদের এই মঞ্চ আর জি করে চিকিৎসক হত্যায় বিচারের দাবিতে লড়ে চলেছে।  
জয়গাঁয় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনা যদিও গত ১৫ অক্টোবরের। ওই দিন দুপুরের পর থেকে চলছে খোঁজ মেলেনি দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীর। বেপাত্তা ছিল অভিযুক্ত বাবলু মিঞা (৫০)। ওই রাতেই শিশুকন্যার পরিবারের তরফে জয়গাঁ থানায় অপহরণের মামলা করা হয়। এক সপ্তাহ পরে বাড়ি থেকে পাঁচশো মিটার দূরে, গত মঙ্গলবার সকালে, একটি ঝোপ থেকে ওই শিশুকন্যার অর্ধদগ্ধ পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  
ভুটান লাগোয়া সীমান্ত শহর জয়গাঁ। হতদরিদ্র পরিবারের সাত বছরের একটি মেয়েকে চাউমিন খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল পাড়ারই এক পরিচিত ব্যক্তি। মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখায় ক্ষিপ্ত জনতা। সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জয়রুল ইসলাম (৪১) এবং মনির হোসেন (৫৭)। 
মানুষ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের প্রশ্ন, অভিযুক্তকে ধরতে এতদিন সময় লাগল কেন? পুলিশ আরো তৎপর হলে হয়তো শিশুকন্যাকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পাওয়া যেত। 
জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানান, মৃতদেহটি পুড়ে ও পচে গিয়ে এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছে যে, শুধুমাত্র ময়নাতদন্তের মাধ্যমে সব কিছু প্রমাণ করা খুবই দুরূহ কাজ। 
এদিন চিকিৎসকদের নিয়ে স্থানীয়রা মিছিল করে স্লোগান তোলেন কেন কুকুর নিয়ে সময়মতো আসেনি পুলিশ। সেক্ষেত্রে এই মর্মান্তিক পরিণতি হয়ত হতো না। 
শিশুর মা প্রতিনিধিদলের সামনেই মেয়ের জামাকাপড় আঁকড়ে মাঝে মাঝেই কেঁদে উঠছেন। তবে জেদ ছাড়ছেন না। অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তুলছেন। 
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে এসডিও দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ করতে চাওয়ায় প্রতিবাদীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা হয়। পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় আইনজীবী শামিম আহমেদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন  চিকিৎসকরা।

Comments :0

Login to leave a comment