চিন্ময় কর: মেদিনীপুর
আবারও স্বাস্থ্য দপ্তরের নাম করে জালিয়াতির কারবার প্রকাশ্যে এলো। নিয়োগপত্র নিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে যোগ দিতে এলে ধরা পড়ে নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। সোনা, জমি জায়গা বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার শিকার হলেন কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার নন্দীপাড়ার দম্পতি সুমন ও মামনি নন্দী।
অন লাইন ও নগদ মিলিয়ে লক্ষাধিক টালার তথ্যর সাথে মোবাইল রাখা প্রতারকের ছবি দেখিয়ে প্রতারিত দম্পতি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা বলেন, ‘‘প্রতারকের নাম কৌশিক ঘোষ, বাড়ী মেদিনীপুর শহরের পূর্ব বিধাননগর এলাকায়।’’
রাজ্যে ভুয়োর রমরমা চলছেই। কিন্ত কিভাবে পরপর জালিয়াতি হয়ে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বহু মানুষের। ভুয়ো, ডাক্তার, ভুয়ো চিকিৎসক, ভুয়ো কর্মীর একের পর এক ঘটনা রয়েছেই। সেই সঙ্গে চলছে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে প্রতারণা।
এই ব্যক্তি এক সময়ে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। এমন বহু প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত। স্থানীয়দের ক্ষোভ, বড় কোনও চক্রের যোগাযোগ থাকতে পারে এই প্রতারকের। না হলে প্রশাসন নীরব থাকে কেন।
সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের স্ট্যাম্প দেওয়া নিয়োগপত্র নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে আসেন সুমন নন্দী ও মামনি নন্দী। নিয়োগপত্র দেখেই জেলা স্বাস্থ্য মুখ্য আধিকারিকের সন্দেহ হয়। দম্পতি জানায় যে প্রতারক তাঁদের হাতে এই নিয়োগপত্র দিয়েছে গত ২৯ মে। কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়োগ পত্র দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘গত আট দিনে স্বাস্থ্য দপ্তরের নামে ভুয়ো নিয়োগ পত্র হাতে নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে এসে এমন চার জন বিপদে পড়লেন। প্রথম ঘটনায় এই একই প্রতারকের নাম উঠে এসেছিলো।
মেদিনীপুর শহরে কোতয়ালি থানায় জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তর থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে জানান সৌম্য শংকর ষড়ঙ্গী। প্রথম ঘটনা সামনে আসার পরই জানানো হয় অভিযোগ। এখনেও পর্যন্ত প্রতারকের বিরুদ্ধে কোনো প্রসাশনিক পদক্ষেপ না নেওয়ায় এর পিছনে রাজ্য স্তরে কোনো বড় ধরনের চক্র কাজ করছে বলে শহর জুড়ে গুঞ্জন উঠেছে। তবে ওই প্রতারকের বাড়িতে অনেককেই ক্ষোভ জানাতে দেখেছেন স্থানীয়রা। এদিনও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দপ্তর এবং প্রতারিত দম্পতি পৃথক পৃথক ভাবে এমন প্রতারণায় কৌশিক ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গিয়েছে।
Comments :0