HANNAN MOLLA

দীর্ঘস্থায়ী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বিজয় সম্ভব, দেখিয়েছে কৃষক আন্দোলনঃ হান্নান মোল্লা

রাজ্য জেলা

CPIM west bengal panchayat election TMC BJP

কৃষক শ্রমিক মৈত্রীর ভিত্তিতে গণআন্দোলনকে দৃঢ় করতে হবে। সোনারপুর কৃষক আন্দোলনের অন্যতম শক্তিশালী স্থান। শান্তিময় ভট্টাচার্য ও শিবদাস ভট্টাচার্যকে স্মরণ করে তাঁদের জীবনসংগ্রাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন পথ তৈরি করতে হবে আন্দোলনের মাধ্যমে। তার মাধ্যমেই সাম্রাজ্যবাদী ও সামন্ততান্ত্রিক আক্রমণকে পরাস্ত করা সম্ভব। রবিবার সিপিআই(এম)দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির উদ্যোগে সোনারপুরের রাজপুরে শহীদ দাশুমতি ভবনে কমরেড শান্তিময় ভট্টাচার্য ও কমরেড শিবদাস ভট্টাচার্য স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। সেই সভায়  এমনটাই বলেন কৃষক আন্দোলনের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব হান্নান মোল্লা।

তেভাগা আন্দোলনের বিষয় উল্লেখ করে হান্নান মোল্লা বলেন, শ্রেণী সংগ্রামই একমাত্র পারে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে। হান্নান মোল্লা আরও বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে বহু আন্দোলন হয়েছে, তাতে কৃষকরা আংশগ্রহণও করেন। কিন্তু সার্বিকভাবে কৃষক এবং শ্রমিকদের দাবি নিয়ে আন্দোলন ও সংগঠন গড়ে ওঠে কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে। সেই ধারা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে।

এর সঙ্গেই হান্নান মেল্লা যোগ করেন, নয়া উদারবাদী নীতি প্রণয়নের পরে কৃষক আন্দোলনের অভিমুখ নতুন ভাবে তৈরি হয়। এই সময়কালে কৃষকদের উপর আক্রমণের রূপ এবং ধরণ পালটায়। তারফলেই বর্তমান সময়ে কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই বর্তমানে আন্দোলন সংগঠিত হতে শুরু করেছে। বিজেপি সরকার এর আগে কৃষকদের বহু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে। কৃষকদের স্বর্বস্বান্ত করতে লকডাউনের মধ্যেই কালা কৃষি আইন পাস করানো হল। এর বিরুদ্ধে সংগঠিত কৃষক আন্দোলন শুরু হয়। ৫৩০টি কৃষক সংগঠন এক হয়ে লড়াই শুরু করে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আগামী দিনে এই আন্দোলনের সাফল্যকে পুঁজি করেই আমাদের এগোতে হবে।

হান্নান মোল্লা আরও বলেন, কৃষকদের সবথেকে বড় শত্রু বিজেপি সরকার। ২০১৩ সালে কৃষকদের স্বার্থে বামপন্থীদের চাপে আইন পাস হয়। বিজেপি সেই আইন পরিবর্তনের চেষ্টা করে। এর বিরুদ্ধে স্থানীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সভায় বক্তব্য রাখার সময় শমীক লাহিড়ী বলেন, তৎকালীন সময়ে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির আক্রমণে ও সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ার পরে আক্রমণ আরও বহুমাত্রিক হয়েছে। এই আক্রমণ এবং আক্রমণের চরিত্র চিহ্নিত করাই এই মুহূর্তের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

সুজন চক্রবর্তী বলেন, অতি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলির সঙ্গে একজোট হয়েছে সমাজের সংঙ্কীর্ণতাবাদী অংশগুলি। বামফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটানোর জন্য এঁদের সঙ্গে একজোট হয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি। সেই যুক্তশক্তির সরকারই এখন রাজ্যে চলছে। এর বিরুদ্ধে মানুষকে একজোট করে সংগ্রাম করতে হবে।

এদিন সভা পরিচালনা করেন রাহুল ঘোষ। তিনি সোনারপুর সহ গোটা জেলায় শান্তি ভট্টাচার্য এবং শিবদাস ভট্টাচার্যের অবদানের বিষয়ে আলোকপাত করেন। সভার সমস্ত বক্তাই কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে  আরও বৃহৎ এবং যৌথ আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেন।

Comments :0

Login to leave a comment