দক্ষিণবঙ্গে দাবদাহ। ভয়ঙ্কর গরমে হিমশিম খাচ্ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়ে গরমে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের তেমটাই দাবি মৃতের পরিবারের। গোঘাটের নকুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের নকুন্দা গ্রামের বাসিন্দা মিলন দাস(৫৮) পাঁচ বিঘা মাঠে ছাগল চড়াতে যান। ছাতা ছিল তার সঙ্গে। প্রৌঢ়ের আত্মীয় পরমা দাস বলেন, প্রচন্ড গরম পরেছে। মাথায় চড়া রোদ নিয়ে ছাগল চড়ানোর সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেন। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা উঠে পরে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সান স্ট্রোকেই মৃত্যু কিনা তা নিশ্চিত করেনি হাসপাতাল। তবে গতকাল থেকে দাবদাহের সতর্ক বার্তা রয়েছে হুগলির আরামবাগ গোঘাট এলাকাতেও। আজ জেলার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছুঁয়েছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম তাই ঘাম কম। তবে শুষ্ক গরমে অস্বস্তি বাড়ছে।
গ্রীষ্ম শুরু হতে না হতেই গরমের দাবদাহে পুড়ছে দেশের অধিকাংশ প্রান্ত। আগামী পাঁচ দিনে দেশ জুড়ে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে গত রবিবারই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উত্তর-পশ্চিম, পূর্ব ভারত সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আগামী পাঁচ দিনে ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা মঙ্গলবার থেকে বাড়বে। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারতে গরম স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ইতিমধ্যেই দেশের নানা প্রান্তে রোদের তেজ মারাত্মক বেড়েছে। তীব্র গরম বাইরে প্রখর রোদ একই সঙ্গে দাবদাহ ঘরে থেকেও যেন শান্তি নেই। সূর্য ডুবলেও গুমোট আবহাওয়ায় গরম থেকে রেহাই মিলছে না। তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে পূর্বভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
প্রবল দাবদাহ অব্যাহত দক্ষিণবঙ্গে। হাসফাঁস অবস্থা মানুষের। সকালের পর থেকেই রাস্তায় কমতে শুরু করেছে লোকজন। একটু বৃষ্টির আশায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন সকলে। এবার সেই প্রবল গরমের জন্যেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটল হুগলির গোঘাটে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে গরমে সান স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
Comments :0