housewife's body recovered in CoochBehar

কোচবিহারে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার, আটক স্বামী

জেলা

গৃহবধুর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার চাঞ্চল্য ছড়ালো কোচবিহার ২নং ব্লকের চকচকা এলাকায়। মৃতের নাম অর্পিতা আর্য (২২)। স্বামী এবং দেড় বছরের এক পুত্র সন্তানকে নিয়ে এই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মৃতা। এখানেই গলার নলি কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ।
  মৃতের স্বামী রবীন্দ্র আর্য দিনহাটায় এক রাইস মিলে কর্মরত। জানা যায়, রবিবার রাতে নাইট ডিউটি ছিল তাঁর। দেড় বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন অর্পিতা। সোমবার ভোর ৪টা নাগাদ অর্পিতার দেড় বছরের শিশুর অনবরত কান্নায় ঘুম ভেঙে যায় বাড়ির মালিক হিরামন চন্দ্র দাস সহ তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। কেন কাঁদছে শিশুটি? তাঁর মা কেন তাকে চুপ করাতে পারছে না? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে তাঁদের মাথায়। এরপর তাঁরা এগিয়ে যান ভাড়াটিয়ার ঘরের কাছে এবং দেখেন সবার ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় রয়েছে। বিছানার ওপর শুয়ে একাই কাঁদছে শিশুটি। তখনই তার মায়ের খোঁজ শুরু করেন। এরপর ভাড়াটিয়ার রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে দেখেন রান্না ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে অর্পিতার নিথর দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেয় পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশকে। এরপর পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট এই বাড়িটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে মৃতার স্বামীকে।
 আসাম রাজ্যের হালাকুড়া এলাকার বাসিন্দা অর্পিতার কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় কোচবিহার ২নং ব্লকের কালজানি কুড়ার পাড় এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র আর্যের সাথে। তাদের দেড় বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। জানা যায়, শ্বশুরবাড়িতে অশান্তির কারণে স্বামী সন্তানের সাথে চকচকা এলাকায় হীরামন চন্দ্র দাসের বাড়িতে প্রায় ৯ মাস যাবত ভাড়া থাকতে শুরু করেন তিনি।
তবে হঠাৎ কেন এভাবে মৃত্যু হল এই গৃহবধুর? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এটা নিছকই আত্মহত্যা? নাকি এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Comments :0

Login to leave a comment