MIGRANT LABOUR

জর্ডন সেনার গুলিতে নিহত ভারতীয়

জাতীয়

জর্ডন থেকে ইজরায়েল যাওয়ার সময় সীমান্তে জর্ডন সেনা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয়র। সূত্রের খবর পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে মৃত থমাস গ্যারিয়েল পেরেরা এবং তার তিনি সঙ্গী ইজরায়েল যাচ্ছিলেন। ভুয়ো ভিসা সংস্থার পাল্লায় পড়েন তারা। মোটা টাকার বিনিময় তাদের ইজরায়েলে কাজ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাতে তারা রাজি হয়। কিন্তু ইজরায়েলের ভিসা না দিয়ে তাদের দেওয়া হয় জর্ডনের পর্যটক ভিসা। ওই সংস্থার কথা মতো সীমান্ত পার করে তিনজন চেষ্টা করছিলেন ইজরায়েলে প্রবেশ করার। সেই সময় জর্ডন সেনা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় পেরেরার। তার এক সঙ্গী আহত হয়েছেন, তার পায়ে গুলি লেগেছে। বাকি দুজন এখন রয়েছেন জর্ডনের জেলে।
জর্ডনের সঙ্গী এডিসন আহত অবস্থায় দেশে ফেরার পর এই ঘটনা সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে ওই ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর সেই দেশের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে মেইল মারফত পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। কিন্তু সেই মেইল তারা পায়নি। 
এডিসন জানিয়েছেন গত ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের সাথে পরিবারের লোকেদের কথা হয়েছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি তারা চারজন একটি পার্বত্য ভূমি পার করে ইজরায়েলে প্রবেশর চেষ্টা করেন। সেই সময় তারা সেনা বাহিনীর নজরে পরে। তাদের লক্ষ করে গুলি করা হয়। গুলির আঘাতে সেখানেই মৃত্যু হয় পেরেরার। এডিসনের পায়ে গুলি লাগে।
পেরেরা এবং এডিসন দুজনে কেরালায় অটো চালাতেন। তাদের এই বাইরে কাজ করতে যাওয়ার বিষয় পরিবার সেই ভাবে কিছু জানত না। পরিবারকে তারা শুধু জানিয়ে ছিলেন যে তারা জর্ডন যাচ্ছেন। 
ইতিমধ্যে নোকা রুটসের কাছে পেরেরার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। সংস্থার পক্ষ থেকে অজিত কোলাসেরি জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা বিভিন্ন সময় ঘটে চলেছে। ভুয়ো ভিসা সংস্থা গুলো মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে এদেশের ছেলে মেয়েদের। বিভিন্ন কাজে তাদের যুক্ত করা হচ্ছে। বেআইনি ভাবে তাদের বিভিন্ন দেশে ঢোকানো হচ্ছে। তারপর ধরা পড়লে বেআইনি অনুপ্রবেশকারি হিসাবে তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
উল্লেখ্য এই ভুয়ো ভিসা সংস্থা গুলোর জন্য আমেরিকা থেকে পায়ে শিকল পড়ে দেশে ফিরতে হয়েছিল ভারতীয় অনুপ্রবেশকারিদের। মোটা টাকার বিনিময় তাদের লোভ দেখানো হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযেগ করে দেওয়ার। কাজ তো হয়নি উল্টে বেআইনি ভাবে তাদের প্রবেশ করতে হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশে কাজের বাজার খারাপ। স্বাধীনতার পর সব থেকে বেশি বেকারত্বের হার। এই পরিস্থিতিতে দেশে কাজ না পেয়ে বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন ছেলে মেয়েরা। পরিযায়ী শ্রমিক হতে হচ্ছে তাদের। সরকার কাজের সুযোগ তৈরি করতে ব্যার্থ। একাধিক সরকারি দপ্তরে কোন নিয়োগ নেই। বেসরকারি সংস্থায় গুলোয় চলছে দেদার ছাঁটাই। মোদী সরকার নীরব, আর এই সুযোগে রম রমিয়ে চলছে এই সব ভুয়ো ভিসা সংস্থা গুলো।

Comments :0

Login to leave a comment