শুক্রবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের একবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় কুন্তলকে। কুন্তলের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন জানান। এর পাল্টা মুখ খোলেন ইডি’র আইনজীবী। তাঁর দাবি, ১২০০ নবম-দশম এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষককে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছে কুন্তল এবং তাঁর সহযোগীরা। দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন বড় সংখ্যক অশিক্ষক কর্মচারীও। ২০২২ সাল থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে চাকরি হারানোর ভয় তৈরি হয়। সেক্ষেত্রেও আসরে নামেন কুন্তল। এই প্রার্থীদের চাকরি বাঁচাতে আইনি সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। তার বিনিময়ে মাথা পিছু ২০ হাজার টাকা নতুন করে ‘তোলা’ হয়। এর পরিমাণ ২ কোটি ৪০ লক্ষ। ইডি’র আইনজীবীর দাবি, কুন্তলের অ্যাকাউন্টে এই টাকার হদিস মিলেছে।
ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, কুন্তলের সংগৃহীত দুর্নীতির টাকার ভাগ পেতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ১৩০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। তার জন্য মাথাপিছু ৮ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। যার মোট পরিমাণ ১০ কোটি টাকার বেশি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে মেলা ৫০ কোটি টাকার মধ্যেও সেই টাকার অংশ রয়েছে। ২০২২ প্রাথমিক টেট পরীক্ষাতেও দুর্নীতি করে থাকতে পারেন কুন্তল। কুন্তলের হেফাজত থেকে মেলা আড়াইশো টেট ওএমআর শিট সেই আশঙ্কাকে জোরালো করেছে। সব মিলিয়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অন্যতম মূল চরিত্র কুন্তল। এই যুক্তিতে কুন্তলের জামিনের বিরোধীতা করেন ইডির আইনজীবী।
যদিও কুন্তলের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের হেফাজত থেকে একটি কানাকড়িও মেলেনি। তাই তাঁকে হেফাজতে রাখার কোনও যুক্তি নেই। দুই তরফের সওয়াল জবাব শেষে কুন্তলকে ফের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠান বিচারক। ১৭ ফেব্রুয়ারি অবধি প্রেসিডেন্সি জেলে থাকতে হবে তাঁকে।
Comments :0