Hanging Body Found

ঋণের জালে আত্মঘাতী লটারি বিক্রেতা

জেলা

লটারি বিক্রেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার তুফানগঞ্জে। সংসারের অভাব মেটাতে বেসরকারি সংস্থা থেকে চড়া সুদে প্রথমে ঋণ নিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন সংসারটা জোড়াতালি দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। পরে দেখেছেন আসল ফেরানো তো দূরের কথা কিস্তি মেটানোর টাকা হাতে নেই। বাধ্য হয়েই বেছে নিলেন আত্মহননের পথ!
পেশায় লটারি টিকিট বিক্রেতা ৫১ বছরের ওই ব্যক্তির মৃত্যুতে হতবাক তাঁর বাড়ির এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে একটি অর্থ লগ্নিকারী সংস্থার কিস্তির টাকা জোগাড় করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুটিবাড়ি এলাকার ঘটনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোকের ছায়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম নাজির আনসারী(৫১)। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে দেহটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ময়না তদন্তের জন্য কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের হাতে দেহটিকে তুলে দেওয়া হবে বলে থানা সূত্রে খবর। পরিবারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের চামটাকুটি বাড়ি এলাকায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন নাজির আনসারী। লটারির টিকিট বিক্রি করে কোনোমতে চলতো সংসার। প্রায় বছর খানেক হলো ব্যাবসার কাজে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা একটি অর্থ লগ্নিকারি সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন, যার সাপ্তাহিক কিস্তি আড়াই হাজার টাকা। কারণবশত গত সপ্তাহে তিনি তাঁর কিস্তির আড়াই হাজার টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। সেই মতে আজ শুক্রবার কিস্তি পরিষদের দিন। গত সপ্তাহের আড়াই হাজার এবং চলতি সপ্তাহের আড়াই হাজার মিলে মোট ৫০০০ টাকা কিস্তি ছিল। সেই কিস্তির টাকা জোগাড় করতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগতে ছিলেন। আজ ছিল কিস্তির তারিখ। কিন্তু সেই কিস্তির ৫০০০ টাকা জোগাড় করতে না পেরেই বৃহস্পতিবার রাতেই গলায় ফাঁস লাগায় বলে দাবি পরিবারের লোকজনের। মৃতের স্ত্রী জানান, গত সপ্তাহের কিস্তি এবং এই সপ্তাহের কিস্তি মিলে পাঁচ হাজার টাকা আজকে দেওয়ার কথা। সেই টাকা জোগাড় করতে না পেরেই এমনটা করেছে বলে দাবি স্ত্রীর। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রী দেখতে পান ঘরের পিছনেই ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়তে ভিড় জমে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটিকে উদ্ধার করেছে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোকের ছায়া এলাকায়।

Comments :0

Login to leave a comment