ভাস্কর দাশগুপ্ত - পুরুলিয়া
পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় মৃত্যু হয়েছে পুরুলিয়া ঝালদা পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মী মনীশ রঞ্জন মিশ্রর। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে কর্মরত ছিলেন। কর্মসূত্রে তিনি পরিবার নিয়ে হায়দরাবাদে থাকতেন। সেখান থেকে স্ত্রী, পুত্র-কন্যাকে নিয়ে গিয়েছিলেন বেড়াতে। এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাঁচিতে সিআরপিএফ ক্যাম্পে গার্ড অফ অনার দেওয়া হলো কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত মণীশ রঞ্জন মিশ্রকে। জানা গেছে রাঁচি হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালদায় আসবে মণীষ রঞ্জনের দেহ।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ঝালদায় ১২ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছিল ঝালদার নাগরিক মঞ্চ ও ঝালদা ক্রিকেট এসোসিশন এর যৌথ উদ্যোগে। সমর্থন করেছে আপামর ঝালদাবাসী।এদিন সকাল ৬ টা থেকে সিন্ধ্যা ৬ টা সেই বনধে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাড়া মিলেছে লোকজনের। ঝালদা শহরের বেশিরভাগ দোকানপাটই বন্ধ।
ভালো ছেলে বলেই এলাকায় খুব পরিচিত এবং সবার সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারত। স্ত্রী এবং দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীদের ছোঁড়া গুলিতে নিহত হন মনীশরঞ্জন। আজ দুপুর নাগাদ তাঁর দেহ ফিরবে ঝালদায়। সেই দেহ নিয়ে ঝালদা শহরে পরিক্রমা করার কথা নাগরিক মঞ্চের। ভালো মানুষকে হারিয়ে মন ভালো নেই ঝালদার মানুষের।
পাহেলগামে হামলার প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় শুধু দেশ ও রাজ্যে নয় আন্তর্জাতিক মহলে। এই নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ঝালদার গোটা এলাকার মানুষজন। সবাই জড়ো হয়েছেন শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলাকে কাপুরুষোচিত ঘৃণ্য অপরাধ হিসাবে বর্ণনা করে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে পথে নেমে ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়েছে ঝালদা ক্রিকেট এসোসিয়েশনও।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কাশ্মীরে পুলওয়ামা হামলার পরে এর আগে সন্ত্রাসবাদীরা এমন বর্বরচিত আঘাত হানেনি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমীর পুতিন, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানেয়াহু, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি শোকের মুহুর্তে ভারতের প্রতি সংহতি জানান।
Comments :0