বলাগড় ব্লক হাসপাতাল জিরাটের আমদপুর হাসপাতালে দেখা গেল এমনই ছবি। যেখানে কুকুর বিড়ালের কামর খেয়ে এআরভি নিতে এসে পাচ্ছেন না অনেকেই।
সুফল চন্দ্র দাস বলেন, ‘‘আমাকে কুকুরে কামড়েছে,আমি ২৭ তারিখ প্রথম ভ্যাকসিন নিতে এসে ভ্যাকসিন পাইনি। নিজে বাইরে থেকে কিনেছিলাম। আজ ডেট ছিল,সেই মত এসেও ভ্যাকসিন পাচ্ছিনা। হাসপাতাল থেকে বলে দিল নিজেকেই কিনতে হবে। এখনো দুটো ভ্যাকসিন বাকি, সরকারের যে ভ্যাকসিন দেওয়া কথা সেটা পাচ্ছিনা। ডাক্তারবাবু বলছেন ভ্যাকসিন নেই।’’
আরও এক ব্যাক্তি মন্টু বিশ্বাস জানান, গতমাসে ২২ তারিখ বাড়ির কুকুরে কামড়ায়। ওই দিনই ভ্যাকসিন নিতে আসলে হাসপাতাল থেকে বলা হয় পরে আসার জন্য। পরের দিন গেলে এক নার্স বলেন ভ্যাকসিনের সাপ্লাই নেই তাই বাইরে থেকে কিনতে হবে। তারপর আবার জানানো হয় ভ্যাকসিন এসেছে, সেইদিন ভ্যাকসিন পান তিনি। তারপরের ডেটেও ভ্যাকসিন পান, তবে অনেকেই সেদিন ভ্যাকসিন পাননি। তিনি বলেন, ‘‘আজ যখন এসেছি বলছেন ভ্যাকসিন কিনে আনুন। ৩৯০ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনলাম।’’
হাসপাতালের এক ফার্মাসিস্ট জানান, ‘‘জেলা থেকে সাপ্লাই নেই তার জন্য আমরা পাচ্ছিনা। আমাদের মাসে চারশো থেকে সাড়ে চারশো ভয়েল এআরভি লাগে, আমরা পাচ্ছি মাত্র কুড়ি ভয়েল। তাও দুই ঘন্টায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে সাধারনের সমস্যা হচ্ছে।’’
হুগলি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য থেকে এআরভি না আসায় হাসপাতাল গুলোতে চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া যাচ্ছে না।
Comments :0