সব স্তরে বিচারপতি নির্বাচন করতে ভোট হয়েছে মেক্সিকোয়। সরাসরি জনতা ভোট দিয়েছেন বিচারপতি নিয়োগে। সুপ্রিম কোর্ট, সার্কিট ম্যাজিস্ট্রেট থেকে জেলা বিচারপতিরা নির্বাচিত হবেন এই নির্বাচনে।
মেক্সিকোর বামপন্থী রাষ্ট্রপতি ক্লডিয়া শেনবম বলেছেন, বিচারবিভাগে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির কারণে জনতার অধিকার রক্ষা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মেক্সিকোয়। তার জন্য সরাসরি জনতাকে বিচারপতি নির্বাচন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জনতার ভোটে বিচারপতি নিয়োগের এই নীতি যদিও যথেষ্ট বিরোধের মুখে পড়েছে। গত রবিবার ভোটের দিনেও বিক্ষোভ হয়েছে। পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন তুলেছে ভোটদানের হার কম হওয়ায়।
আমেরিকার প্রতিবেশী মেক্সিকোতে ড্রাগ চক্র এবং মানব পাচার চক্রের মাফিয়াদের দাপট সব ক্ষেত্রে। জনজীবন থেকে রাজনীতিতে এই চক্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন বামপন্থী রাষ্ট্রপতি লোপেজ ওব্রাডর। আদতে তিনিই বিচারবিভাগীয় সংস্কারের পক্ষে সরব ছিলেন। তাঁরই অনুগামী শেনবম দায়িত্ব পেয়ে ভোট করাতে উদ্যোগী হন। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ামক ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল ইনস্টিটিউট পরিচালনা করেছে গোটা প্রক্রিয়া।
অর্থ এবং সামাজিক প্রভাবের দাপট যাতে ভোটদাতাদের প্রভাবিত না করে তার জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় বিচারপতি নির্বাচনের ভোটে। কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে ভোট লড়া যাবে না, এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে ন্যাশনাল ইলেকটোরাল ইনস্টিটিউট। প্রচারে অর্থ খরচে কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল। কোনও প্রচার অনুষ্ঠান বা মিছিলের ওপরও ছিল নিষেধাজ্ঞা।
মেক্সিকোর মহিলা বিচারপতিদের অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান মারিয়া এমিলিয়া মোরেনা বলেছেন, ‘‘অর্থ এবং প্রতিপত্তির জোরে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা হতো। বিচারবিভাগে প্রতিপত্তিবানদের পছন্দের লোকদের নিয়োগ করা হতো। নির্বাচনে এই অংশকে যতটা সম্ভব নিষ্ক্রিয় রাখার চেষ্টা করা জরুরি ছিল।’’
১৫ জুন নাগাদ ফল ঘোষণা করতে পারে ইনস্টিটিউট।