মাদ্রাসি ক্যাম্পের পর বাটলা হাউজ, জামিয়া নগর। এ মাসের ১১ তারিখে কয়েকশো বাসিন্দা।
দিল্লি দেখাচ্ছে সবার মাথার উপরে হাত দেওয়া তো দূর, যার যেটুকু ছিল তাও কেড়ে নিতে নেমেছে বিজেপি।
বাটলা হাউজের বাসিন্দারা বলছেন তাদের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং উত্তর প্রদেশ সেচ দপ্তর। নোটিসেরই বক্তব্য এক। বলা হয়েছে সরকারি জমির উপরে অবৈধ বসবাস করছেন এই বাসিন্দারা। নিজে থেকে সরে না গেলে ১১ জুন থেকে উচ্ছেদ শুরু হবে।
বাসিন্দারা যদিও ভিন্ন কথা বলতেন। তারা জানিয়েছেন সাখিতের আদালতে রায় দেওয়া হয়েছিল যে এই জমি সরকারি নয়।
বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই এলাকা আদতে ছিল মুখ ওখলা গ্রাম। ধীরে ধীরে সেখানে গড়ে ওঠে বিভিন্ন বসতি, কলকারখানা। বহু পরিবার পশু পালন করত এই এলাকায়। কয়েক প্রজন্ম ধরে সেই পরিবারগুলো এই এলাকায় রয়ে গিয়েছে।
দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অপারেটিভ এবং উত্তরপ্রদেশ দপ্তর, তাদের নোটিশকে সুপ্রিম কোর্টের একটি দায়ের উল্লেখ করেছে। গত বছরের জুলাইয়ে সেই রায় বলা হয়েছিল যে রাজধানী শহর দিল্লিতে কোন অবৈধ দখলদারি রাখা যাবে না। সরকারকে নিজের জমি উদ্ধার করতে হবে। কিন্তু বাসিন্দারা বলছেন এই এলাকার যেখানে তাঁরা থাকেন, সে জমির মালিকানা আদৌ সরকারের আছে কিনা, সেটিই ঠিক হয়নি।
এই এলাকায় মুসলিম মানুষের বাস বেশি। তবে সব বাসিন্দারাই জানাচ্ছেন যে বাড়ি বাড়ি লাল ‘ক্রস’ চিহ্ন দিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার সেগুলি ভাঙার তোড়জোড় চলছে। সুপ্রিম কোর্টে একটি জরুরী আবেদন দায়ের করেছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্ট জরুরি শুনানিতে রাজি হয়েছে। আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে আছেন জামিয়া নগর, বাটলা হাউজ এলাকার বাসিন্দারা।
Delhi
এবার দিল্লির জামিয়া নগরে ছাদ কাড়ার তোড়জোড়

×
Comments :0