Rampurhat Bomb Blast

তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে মজুত বোমা ফেটে জখম শিশুর মৃত্যু পাঁচ দিন পর

জেলা

দিন পাঁচেক আগে বোমা ফেটে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিক দুই শিশু। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বুধবার সকালে। মৃত শিশুর নাম সোহ্ন সেখ। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৩ ডিসেম্বর  বীরভূমের মারগ্রামের একডালা গ্রামে। বল ভেবে খেলতে গিয়ে মজুদ বোমা হাতে তুলে নেয় দুই শিশু। সেই বোমা ফেটে গুরুতর জখম হয় দুই শিশু। তাদের চিকিৎসা চলছিল বর্ধমানে।  বুধবার সকালে তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার দিনই জখম শিশুদের দাদু এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী জামিরুল সেখকে বোমা মজুদের অপরাধে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। 


একডালা গ্রামের গ্রামের বাসিন্দা জামিরুল সেখ তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। জামিরুলের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল তার বিবাহিত দুই মেয়ে। তাদেরই দুই ছেলে রোহন সেখ ও সোহন সেখ গত বৃহস্পতিবার বেলার দিকে দাদুর পরিত্যক্ত বাড়ির চিলেকোঠায় ওঠে। সেখানে মজুদ থাকা বোমাকে বল হিসাবে খেলতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। আচমকা ঘটে যায় বিস্ফোরন। তীব্রতায় কেঁপে ওঠে চারিদিক। ফাটল ধরে যায় চিলেকোঠার কংক্রিটের নি্র্মানে। গুরুতর জখম হয় দুই বালক। তাদের প্রথমে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ এবং পরে সেখান থেকে বর্ধমান স্থানান্তরিত করা হয়েছে।  বিস্ফোরণে দুই বালকের হাত এবং চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছিল। ঘটনার পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে দাদু জামিরুল শেখ বলেন, “দুই নাতিতে চকলেট বোমা এক সঙ্গে বেঁধে ফাটাচ্ছিল। আমি তাদের মানা করি। কিন্তু কথা শোনেনি। 

চকলেট বোমা ফেটেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’ তবে বেশিক্ষন ধোপে টেকে নি এই তত্ব। পরিস্কার হয়ে যায় যে মজুদ বোমা ফেটেই ঘটেছে গোটা ঘটনা। পুলিস গ্রেপ্তার করে জামিরুল সেখকে। বোমা মজুদকারী জামিরুল যে তৃণমূল কর্মী তা স্বীকার করেছেন স্থানীয় কালুহা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান আকাল লেট। বোমা ফাটার শবদ্ও যে বিকট হয়েছিল তাও স্বীকার করেছেন তিনি। সেদিনই তিনি  বলেছিলেন, “আমি মাঠে কাজ করছিলাম। বোমের বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসি। ততক্ষনে দুই বালককেই হাসপাতালে নিয়ে চলে গিয়েছিল। জামিরুল আমাদের দলের সমর্থক।’’  জেলা পুলিশের এক আধিকারিকও জানিয়েছিলেন, “মজুত বোমা থেকেই ওই ঘটনা ঘটেছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment