বিশ্বজিৎ দাস
ঘটনা-১ : ছমসুল হক ওরফে সমছুল আলী (৭০)। তাঁর বাড়ি আসামের চিরাং জেলার গড়াইমারি গ্রাম। এই বৃদ্ধ শুনতে পান না, কথাও বলতে পারেন না। গত ২৪ মে মাঝরাতে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তারপর থেকে তাঁর খোঁজ নেই। গত ৩০ মে বাংলাদেশের পাটগ্রাম রেলস্টেশনে ইউসুফ আলী(৭৫) নামের এক বৃদ্ধ সেই দেশের সাংবাদিকদের কাছে তাঁকে কিভাবে পুশব্যাক করেছে বিএসএফ, সেই বর্ণনা দিচ্ছিলেন। এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর দেখা গেছে এই ইউসুফ আলীর পাশে দাঁড়িয়ে আছেন ছমসুল হক৷ ইউসুফ আলী জানাচ্ছেন, গত ২৫ মে রাতে আটজন লোককে ধুবড়ি সীমান্তের লালমনিরহাট দিয়ে তাদেরকে পুশব্যাক করে বিএসএফ। তাঁরা সকলেই বৃদ্ধ। কারোরই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। হাতে টাকাকড়িও নেই। সেদিন রাত নো ম্যান্স ল্যান্ডে কাটিয়ে পরদিন ভোর হতেই অজানা পথে হেঁটে রওয়ানা হন তাঁরা। কোথায় যাচ্ছেন তাও জানেন না। এরমধ্যে পথে তিনজনকে হারিয়ে ফেলেন। হাঁটতে হাঁটতে পাটগ্রাম রেলস্টেশনে এসে পৌঁছেছেন তাঁরা। ইউসুফ যখন কথা বলছেন,তখন তাঁর পাশে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন ছমসুল। এই প্রথম ছমসুল হকের বাড়ির মানুষ জানতে পারলেন তিনি বাংলাদেশে।
ঘটনা ২ : আতাব উদ্দিন(৭২)। তাঁর বাড়ি আসামের মরিগাও জেলার মিকিরবেথা গ্রাম। এই বৃদ্ধ প্রায় কুড়ি বছর ধরে মানসিক রোগী। তেজপুর মানসিক হাসপাতালে কয়েক বছর চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ তাতেও সুস্থ হননি। নিজের স্ত্রী-সন্তানদেরকেও চেনেন না। গায়ে জামাকাপড় দেন না। বেশিরভাগ সময় নগ্নই থাকেন। একবার আগুন ধরিয়ে নিজের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। মানসিক রোগী আতাবউদ্দিনকে গত ২৪ মে মাঝরাতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তারপর থেকে খোঁজ নেই। পরে জানা যায়, বিএসএফ এই মানসিক রোগীকে বাংলাদেশে পুশব্যাকে করে দিয়েছে।
ঘটনা ৩ : খায়রুল ইসলাম (৫১)। পেশায় তিনি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। স্নাতক স্তর পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তাঁর বাড়ি মরিগাও জেলার খণ্ডপুকুর গ্রামে। আসামে নাগরিক পঞ্জী নবায়ন অর্থাৎ এনআরসি’র কাজে যুক্ত ছিলেন। ভারতীয় নাগরিকদের তালিকা তিনি তৈরি করেছেন। অথচ, ভারত সরকারের চোখে তিনি বাংলাদেশি। তাঁকেও রাত-বিরেতে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটায় পুলিশ। তারপর বাংলাদেশে পুশব্যাক করে দেয় বিএসএফ।
গত ২৪ মে রাত থেকে ২৭ মে রাত পর্যন্ত আসামের অনেককে মাঝরাতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করেছে,তা এখনও জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা গেছে বাংলাদেশি তকমা সেঁটে ২৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৬৯ জনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুশব্যাক করাদের চাপে পড়ে গত ৩১ মে ফিরিয়ে এনে ছেড়ে দেয়। একইসঙ্গে আরও ৮০ জনকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়। সবমিলিয়ে ১৫০ জনকে ছেড়ে দিয়েছে। বাকি ১৪৫ জনের এখনো কোনও খোঁজ নেই। তাঁরা কোথায় আছেন, পুলিশ জানাতে রাজি হচ্ছে না৷ নিখোঁজদের মধ্যে কয়েকজন মানসিক রোগী, কয়েকজন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। এঁরা কি জীবিত আছেন,না মৃত! কেউ বলতে পারছে না। নিখোঁজদের খোঁজে পেতে ঘটিবাটি বেচে গাঁটের কড়ি খরচ করে তাদের পরিবারের কেউ হাইকোর্ট ও কেউ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২২এপ্রিল পহেলগামে উগ্রপন্থী হামলার পর। এই ঘটনার পর বিজেপি শাসিত গুজরাট, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশে কর্মরত বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে পুশব্যাক করতে শুরু করে মোদী সরকার। এরমধ্যে অনেকে বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে আরও কয়েকজন ছিলেন, তাঁরা ভারতেরই নাগরিক। এই ঘটনা চলাকালীন আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামে গত ২৪ মে রাত থেকে আচমকা বাংলাদেশি তকমা দিয়ে ধরপাকড় শুরু করে হিমন্তবিশ্ব শর্মার পুলিশ। যাদেরকে গ্রেপ্তার করে, তাদের বিরুদ্ধে বিদেশি সংক্রান্ত মামলা চললেও তাঁরা ভারতীয় নাগরিক হিসাবে তাদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণপত্র আছে। বিদেশি সংক্রান্ত মামলা দীর্ঘ ও জটিল আইনি প্রক্রিয়া। তাই মামলার নিষ্পত্তি হতে সময় লাগছে। তবে এরমধ্যে বিদেশি ট্রাইবুনালের রায়ে অনেকে ডিটেনশন ক্যাম্পে তিন-চার বছর জেল খেটে এসেছেন। কিন্তু তাদের মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই হিমন্তবিশ্বের পুলিশ বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দিয়ে গ্রেপ্তারি অভিযান চালায়। অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে নির্জলা মিথ্যা কথা বলে একেকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কারোর বাড়িতে গিয়ে বলে,‘আপনাকে থানার বড়বাবু ডেকেছেন।আধার কার্ডে আঙুলের ছাপ দিতে হবে।’ কাউকে বলে,‘দশ মিনিটের জন্য থানায় আসতে হবে। একটি টিপসই নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ কেউ পরেরদিন যেতে চাইলে জোর করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সঙ্গে বাড়ির কাউকে যেতে দেয়নি। বাড়ির লোকরা পিছু পিছু থানায় গিয়ে দেখেন থানায় কেউ নেই। কর্তব্যরত পুলিশদের জিজ্ঞেস করলে, তাঁরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।
পরে গত ২৭ মে'র ঘটনা সামনে আসতেই পরিবারের লোকদের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। গোটা দেশ হতবাক হয়ে যায়। ২৭ মে ঠিক কি ঘটেছিল? সেদিন ভোর থেকেই আসামের মানকাচার জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ ও বিডিআর’র মধ্যে গুলির লড়াই শুনতে পান স্থানীয় মানুষ। বেলা গড়াতেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম থেকে প্রচার করা হয়, ভারতের আসাম রাজ্যের ১৪ জন নাগরিককে মাঝরাতে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার বড়াইবাড়ি গ্রামে পুশব্যাক করে দিয়েছে ভারত সরকার। তাঁরা সারা রাত ধরে দুই দেশের সীমান্তের মধ্যবর্তী নো ম্যান্স ল্যান্ডে একটি জমিনের আলে বসে আছেন। তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক নন বলে সেদেশে তাদের ঢুকতে দিচ্ছে না বিডিআর। এই নিয়ে বিএসএফ ও বিডিআর’র মধ্যে কথা কাটাকাটি। তারপর গোলাগুলি পর্যন্ত হয়। এই দলে তিন মাসের এক শিশু, ৫ জন মহিলা ও ৮ জন পুরুষ রয়েছেন। এরমধ্যে খায়রুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষকও আছেন। শিক্ষকের খায়রুলের মন্তব্যও প্রচার করে ওই সংবাদমাধ্যম। অমানবিক নির্যাতন করে কিভাবে পুশব্যাক করেছে বিএসএফ। ডিটেনশন ক্যাম্পে তাদের উপর পুলিশ যে অত্যাচার করেছে, এর গা শিহরণকারী বর্ণনা দেন খায়রুল। এরপরই দেশে আলোড়ন তৈরি হয়। আসামে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিভিন্ন দলসংগঠন। পরে জানা যায়, শুধু এই ১৪ জনই নন, অনেক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের খোঁজ মিলছে না। এই অমানবিক কাণ্ডের বিরুদ্ধে পরদিন গৌহাটি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস রিট আবেদন করেন নিখোঁজদের পরিবারের অনেকে। কয়েকটি সংগঠনও সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের করে। বিষয়টি আদালতে গড়াতেই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজের পিঠ বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি গত ২৮ মে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যাঁরা ঘোষিত বিদেশি, তাদেরকে পুশব্যাক করছে পুলিশ। যাদের নাগরিকত্বের পরিচয় নিয়ে আদালতে মামলা চলছে,তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন শর্মা। কিন্তু তাঁর দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তা কিছুক্ষণ পরই ফাঁস হয়ে যায়। দেখা যায়, যাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, তাদের নাগরিকত্বের মামলা হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টে চলছে। তাছাড়া, বিরোধীদের চাপে ও আইনি গ্যাড়াকলে পড়ার ভয়ে ৩১ মে রাতে পুশব্যাক করা ৬৯ জনকে নো ম্যান্স ল্যান্ড থেকে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয় আসাম সরকার। তাতে স্পষ্ট হয়ে যায়, আসাম ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কতটা ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে আসামের বাংলাভাষী মুসলিমদের (যাদের বেশিরভাগই দরিদ্র) বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা বলেছেন, সেই রায়কেও লঙ্ঘন করেছে আসাম সরকার। গত ৪ ফেব্রুয়ারি একটি বিদেশি সংক্রান্ত মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওউকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়াকে নিয়ে গঠিত ডিভিসন বেঞ্চ রায় দেয় যে ভারতে যাঁরা 'ঘোষিত বিদেশি' আছেন, তাদের নিজ নিজ দেশের বাড়ি চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দেশের হাই কমিশনারের সাথে কথা বলে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তাদের ফেরত পাঠাতে হবে। এই মামলায় আসাম সরকার হলফনামা দিয়ে জানায় ৬৩জন ঘোষিত বিদেশি আসামে আছেন। তখন আদালত এক মাসের মধ্যে তাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু যাদেরকে পুশব্যাক করেছে,তাঁরা এখনও নাগরিকত্ব প্রমাণে আইনি লড়াই করছেন। তাহলে তাঁরা বিদেশি ঘোষিত হলেন কি করে? এখন এই প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
আসামে বিদেশি সমস্যা বহুদিনের। বিদেশি তাড়ানোর নামে আসামে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮৫ সালে আসাম চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি মতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে থেকে যাঁরা বা যাদের পুর্বপুরুষরা আসামে বসবাস করছেন,তাঁরা ভারতীয়। কিন্তু এই চুক্তির পরও ১৯৯৭ সালে ভারতের নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় বেছে বেছে প্রায় ৪ লক্ষ ভোটারকে ‘ডি’ ভোটার তকমা সেঁটে দিয়ে তাদের সমস্ত নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়। এই চার লক্ষের প্রায় সকলেই রাজ্যের বাংলাভাষী। এরপর থেকে তাদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হচ্ছে। এই দীর্ঘ আইনি লড়াই করতে গিয়ে বেশিরভাগই ঘটিবাটি বেচে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে বিদেশি ট্রাইবুনাল খোলা হয়েছে। ট্রাইবুনাল হচ্ছে কুয়াশি বিচার ব্যবস্থা। এটি পূর্ণ বিচার ব্যবস্থা নয়। কিন্তু মানুষের অজ্ঞতা ও দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে ট্রাইবুনালে যাকে তাকে বিদেশি ঘোষণা করে দিচ্ছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে কেউ কেউ উচ্চ আদালতে আপিল করলেও অনেকেই তা করতে অক্ষম। ফলে তাদেরকে ধরে ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে পুরে দিচ্ছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে নির্মম অত্যাচারে অনেকের মৃত্যু ঘটেছে। কেউ কেউ ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি’র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী আসামে প্রচারে এসে বলেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেবেন। ডি ভোটার সমস্যা তুলে দেবেন। তিনি ক্ষমতায় এসে উলটো আসামে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণ করেছেন। গোয়ালপাড়া জেলার মাটিয়ার এক নির্জন এলাকায় চারশো একর জমির উপর উঁচু পাঁচিলে ঘেরা বিশাল ডিটেনশন ক্যাম্প বানিয়েছেন মোদী। এই ক্যাম্পের ভেতরে কি ঘটছে কেউ জানে না। সাংবাদিকদের এক কিমি আগে আটকে দেওয়া হয়। ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি বেশিরভাগই হিন্দু। মৃত্যু হওয়া ৩১ জনের মধ্যে ৩০ জনই হিন্দু।
২০১৯ সালে এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে কর্তপক্ষ। তাতে দেখা যায় ১৯ লক্ষ ৬ হাজারের নাম নাগরিক তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। বাদপড়া সকলেই বাংলাভাষী। এরমধ্যে ১৪ লক্ষের বেশি হিন্দু। বাকিরা মুসলিম।
এখন এনআরসি থেকে বাদপড়া কিংবা ডি ভোটারের নামে বিদেশি সংক্রান্ত মামলা চলাদের খপ করে ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে পুরে দিচ্ছে, নতুবা বাংলাদেশে পুশব্যাক করছে। উলটোদিকে বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে সমঝে নিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে এই লোকগুলো শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ছেন।
Comments :0