জনবিরোধী বিদ্যুৎ আইন ও বিদ্যুৎ বিভাগের বেসরকারিকরণ আটকাতে আগামী ২৩ নভেম্বর দিল্লির লোকসভা ভবনের রাস্তায় মিছিলে নামবেন হাজার হাজার বিদ্যুৎ কর্মী ও ইঞ্জিনিয়ার। রবিবার কলকাতার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কর্মসূচী ঘোষণা করেছে ন্যাশানাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি অফ ইলেকট্রিসিটি এমপ্লয়িজ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারজ(এনসিসিওইইই)।
কমিটির আহ্বায়ক প্রশান্ত নন্দী চোধুরী এদিন বলেন, ২০০৩ সালেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করতে নামে। বলা হয় গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব কেন্দ্রের নেই, সব ভার রাজ্যের। রাজ্য সরকার না পারলে সেই দায়িত্ব যাবে জেলা পরিষদের হাতে, কোঅপারেটিভ’র হাতে ইত্যাদি। আরেকদিকে ৬১-জি ধারার সংশোধন করে পারস্পরিক ভর্তুকির তুলে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়। উল্লেখ্য, সেই সময়ে কেন্দ্রে বিজেপি’র শরিক ছিল তৃণমূল।
পারস্পরিক ভর্তুকিতে গরিব মানুষ, যাঁরা কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তাঁদের থেকে কম হারে মাশুল নেওয়া হয়। ২০০৪ সালেই এনডিএ সরকার পড়ে যায়। বিল পাশ করতে পারেনি তারা। ফলে ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ফের একই লক্ষ্যে নামা হয়েছে। গত ৮ আগস্ট বিলের নতুন সংশোধনে বলা হয় যে সমস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকেই বেসরকারি পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ফলে একই এলাকায় একাধিক সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ঢুকে পড়তে পারবে। তার ফলে চড়া দামে বিক্রি হবে বিদ্যুৎ। বলাই বাহুল্য তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে গ্রামের গরিব মানুষের জীবনে।
নন্দীচৌধুরী বলেন, গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা না গেলে বা বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেলে ব্যাহত হবে চাষবাস। খাদ্য নিরাপত্তা নষ্ট হয়ে যাবে।’ বেসরকারিকরণের ফলে কাজ হারাবেন বহু মানুষ। তাই সারা দেশে আন্দোলন ও হবে।
অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারজ ফেডারেশনের চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র দুবে বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ কর্মী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
বিদ্যুৎ বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে সারা দেশে আন্দোলনের ঘোষণা
×
Comments :0