বলা হয়েছিল ভাঙা হবে কেবল প্রভাবশালী, বিত্তবানদের বেআইনি বাড়ি। সরকারি জমি বেদখল করে যা তৈরি হয়েছে। কাজের বেলায় একেবারে গরিব, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে নেমেছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।
কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে বুলডোজার রাজ চলছে। অন্তত কুড়িটি জেলায় চলছে প্রশাসনিক আগ্রাসন। প্রতিবাদও শুরু হয়েছে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে সিপিআই(এম)। নেতৃত্ব দিয়েছেন পার্টি নেতা ইউসুফ তারিগামি নিজে।
তারিগামি বলেছেন, ‘‘প্রশাসন যা বলছে ঠিক তার উলটোটা করছে। গরিব, সাধারণ মানুষের জমি, আবাস কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ চলবে। গরিবের বাড়ি ভাঙা যাবে না, সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ করা যাবে না।’’
উপ রাজ্যপাল মনোজ সিনহা বলেছিলেন যে কেবল বিত্তবানদের বেআইনি দখলে থাকা সম্পত্তি ভাঙা হবে। সাধারণ মানুষের জমিতে হাত দেওয়া হবে না। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি বলছে, সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ করাই এর উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে চলছে ধরপাকড়।
এর আগে দিল্লি বা উত্তর প্রদেশে বুলডোজার রাজ শীর্ষ আদালতের অসন্তোষের মুখে পড়েছে। যে কারণে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে সেই প্রক্রিয়াই নিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নির্দেশিত প্রশাসন। একতরফা বেআইনি দখলদারি বলে ঘোষণা করা হচ্ছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে। বাসিন্দাদের বক্তব্য শোনার সুযোগ না দিয়ে, আইনি প্রক্রিয়ার তোয়াক্কা না করে শুরু হয়ে যাচ্ছে বুলডোজারের তাণ্ডব।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ওমর আবদুল্লা বলেছেন, ‘‘কোনও প্রক্রিয়াই মানা হচ্ছে না। কাশ্মীরে ভূমিসংস্কার হয়েছিল স্বাধীনতার পরই। সেই ভূমি ব্যবস্থাকে উলটে দিচ্ছে বিজেপি প্রশাসন।’’
আরও কড়া মন্তব্য করেছেন পিডিপি নেত্রী এবং আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘পরিস্থিতি প্যালেস্তাইনের থেকেও খারাপ।’ ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাদ লোন বলছেন, ‘‘উচ্ছেদের মুখে যাঁদের ফেলা হচ্ছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশ সংখ্যালঘু। বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল এমন এলাকাগুলিতে বুলডোজার যাচ্ছে।’’
Comments :0