Tamil Nadu Rain

ঝড়বৃষ্টিতে মৃত ১২, তামিলনাডুতে সহায়তার দাবি সংসদে

জাতীয়

বৃষ্টি থামলেও জমা জল চেন্নাইয়ের রাস্তায়।

কেন্দ্রের কাছে ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি তুললেন তামিলনাডুর সাংসদরা।  ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত পাঁচ জেলা। মঙ্গলবার তামিলনাডুর সরকারে আসীন ডিএমকে’র সাংসদরা এই দাবি তুললেন লোকসভায়। অন্য দলের সাংসদরাও সমর্থন জানিয়েছেন এই আবেদনে।
ঘূর্ণিঝড় মঙ্গলবার দুপুরে আছড়ে পড়েছে অন্ধ্র প্রদেশেও। তবে প্রশাসন জানিয়েছে ঝড়ের জোর খানিকটা কমেছে। তামিলনাডুতে রাজধানী চেন্নাই সহ পাঁচটি জেলা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। অবিশ্রান্ত বৃষ্টির কারণে তামিলনাডুতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। 
চেন্নাইয়ে দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য নামানো হয়েছে নৌকা। ত্রাণ সামগ্রী নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে হচ্ছে ট্রাক্টর। রাস্তার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে জলের স্রোত। প্রশাসন জানিয়েছে, ঘরবাড়ি এবং দেওয়াল ভেঙে আহত আরও ১১ জনের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে। 
মুথিয়ালপেট, কোট্টুপুরমের মতো নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরাতে হয়েছে। চালু হয়েছে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির। কোট্টুপুরমে যাত্রীভরা একটি বাস জলে আটকে যায়। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বলেছেন, ৬১ হাজার ৬৬৬টি ত্রাণ শিবির খুলতে হয়েছে। ১১ লক্ষ খাবারের প্যাকেট এবং ১ লক্ষ দুধের প্যাকেট বিলি করা হয়েছে। 
অন্য জেলা থেকে প্রায় ৫ হাজার কর্মীকে নিয়ে এসে ত্রাণের কাজ করাচ্ছে চেন্নাই কর্পোরেশন। অনেক এলাকায় জল নামলেও চালু করা যায়নি বিদ্যুৎ পরিষেবা।  
এদিন লোকসভায় ডিএমকে সংসদীয় দলনেতা টিআর বালু এবং রাজ্যসভায় তিরুচি শিবা বলেছেন, রাজ্য সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। ত্রাণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ৫ হাজার টাকা দেওয়া উচিত কেন্দ্রের। ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি বলেছেন, কেবল চেন্নাই নয়। পাশের জেলাগুলিতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুনর্গঠনের কাজ জরুরি। 
রাজ্য সরকার বলেছে, গত দু’দিনে বৃষ্টিপাত অস্বাভাবিক। ৪৭ বছরে এত কম সময়ে এমন বৃষ্টিপাত হয়নি।

Comments :0

Login to leave a comment