SC Road Accident

পথ দুর্ঘটনায় চিকিৎসার প্রকল্প কোথায়? কেন্দ্রকে কড়া প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

জাতীয়

নতুন মোটর যান আইন চালু হয়ে গিয়েছে ২০২২’র এপ্রিল থেকে। তিন বছর মেয়াদে বিধি চালু করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনাগ্রস্তদের জন্য কোনও প্রকল্প কেন্দ্র করেনি কেন।
সোমবার আইন সংক্রান্ত শুনানিতে এই মর্মে কেন্দ্রকে প্রশ্নের মুখে ফেলল সুপ্রিম কোর্ট। 
শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুঁইঞা কেন্দ্রকে মনে করিয়েছেন যে ৮ জানুয়ারি প্রকল্প তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সময়সীমা বাড়ানোর অনুমতিও আদালতের কাছে চায়নি কেন্দ্র। প্রকল্পও করেনি।
মোটর ভেহিকলস আইনের ১৬৪ক ধারা অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় শিকার হলে ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে বলা রয়েছে। ক্ষতপূরণের নির্দিষ্ট প্রকল্প করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। আইন চালু করে গাড়িচালকদের ওপর বিধি চাপিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু নিজের দায়িত্ব পালন করেনি।
সোমবার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের সচিবকে তলব করেছিল আদালত। সচিব আদালতে বলেছেন যে জেনারেল ইনসিওরেন্স কাউন্সিল সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। সংশ্লিষ্ট গাড়ির বিমায় পথচারীদের জন্য কী বলা আছে তা না দেখে চিকিৎসা সংক্রান্ত সুবিধা বলা যাবে না। 
সচিবের বক্তব্য প্রকল্প তৈরি হয়ে গেলেও জিআইসি’র আপত্তির কারণে তা চালু করা যাচ্ছে না। আদালত ১৩ মে পরিবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছে। তার আগে, ৯ মে, কেন্দ্রকে প্রকল্পের খসড়া আদালতে পেশ করতে বলেছে। 
আইনজ্ঞরা বলছেন, ১৯৮৮’র মোটরযান আইনের ২(১২-ক) ধারায় বলা হয়েছিল দুর্ঘটনার পর প্রথম এক ঘন্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসা পেলে বহু প্রাণ বেঁচে যেতে পারে।
এদিন আদালতও বিষয়টি মনে করিয়েছে। বিচারপতিরা বলেছেন, অনেক সময়ই প্রক্রিয়াজনিত সমস্যা বা আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় দ্রুত চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। নতুন আইনে কেন্দ্রের সরকারকেই প্রকল্প করতে বলা হয়েছে। ২০২২’র এপ্রিলে আইন চালু ঘোষণা করলেও প্রকল্প এখন পর্যন্ত কেন্দ্র করেনি।

Comments :0

Login to leave a comment