Ekushey Book Fair 2025

অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

আন্তর্জাতিক

মীর আফরোজ জামান - ঢাকা
অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, একুশের টান বয়স ও প্রজন্মের ঊর্ধ্বে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখানো তারই প্রমাণ। মেলার গুণগত মান বৃদ্ধিতে সেরা লেখক ও প্রকাশকদের জন্য পুরস্কার চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
শনিবার বিকেলে বাঙালির প্রাণের এই মেলার উদ্বোধন করেন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী দেশের বৃহত্তম এ বইমেলা চলবে। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হয়েছে প্রাণের বইমেলা।


এর আগে গত বৃহস্পতিবার একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন জানান, এ বছরের বইমেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’। অমর একুশে বইমেলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘মেট্রোরেল স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায় বাইরে যাওয়ার গেটটি মন্দিরের গেটের কাছাকাছি সরানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট ও ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের কাছে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য চারটি পয়েন্ট থাকবে’’।
দর্শনার্থীদের জন্য বইমেলা উপভোগ্য করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহনের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
ঢাবি প্রক্টর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না। শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষ মেট্রোপলিটন ট্রাফিকের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস এলাকার ভেতরে যানবাহন পার্কিংয়ের অনুমতি দেবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাবি কর্তৃপক্ষ বইমেলার পার্কিং গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহারের জন্য হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের মাঠ উন্মুক্ত করেছে। 


এদিকে বইমেলায় শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত একটি ডাস্টবিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবি প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর ফেসবুক পেজে নিজেই শেয়ার করেছেন। যা নিয়ে গোটা বাংলাদেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
উল্লেখ্য যে, প্রতি বৎসর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বই মেলা শুরু হয় এবারও তার ব্যাতিক্রম নয় চলে মাসজুড়ে। তবে শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় প্রগতিশীল ও উদার মনাদের সমারোহ একটু কম বোঝা যাচেছ। আবার মুক্তবুদ্ধির লেখকদের মন খারাপ। সে রকম উল্লাস ও উৎসাহ নেই। একেবারেই যে নেই সেটি বলা যাবে না কারণ, এতদিন যেসব লেখক প্রকাশকদের বইয়ের প্রতি পাঠকদের চাহিদা ছিল কিন্তু ভয়ে প্রকাশকরা বই প্রকাশ করতে সাহস পায়নি। এইবার ওইসব লেখকদের বই মেলাতে আসবে বেশী বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচছুক এক বই প্রেমী। সরকারি উদ্যোগে বাঙালিদের প্রাণের এই মেলাটি প্রতি বৎসর বই প্রেমিদের একই সুতায় আবদ্ধ করে বাঙালি সংষ্কিৃতিতে। এবারের বই মেলাতে প্রতিবছরের মত উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।

Comments :0

Login to leave a comment