Sandeshkhali Left

পুলিশের বাধা সরিয়ে কাজ, আবাসের দাবিতে গণ-ডেপুটেশন সন্দেশখালিতে

জেলা

সন্দেশখালির ন্যাজাটে প্রতিবাদ মিছিল বামপন্থী গণসংগঠন সমূহের।

প্রবীর দাস: বসিরহাট

একবার গিয়ে দেখে আসুন আমরা কি অবস্থায় বাস করি। কুঁড়ে ঘরে বাস।তারপরেও আমরা ঘর পাই না। আমরা আদিবাসী। আমরা লাল ঝান্ডা করি।এটাই কী আমাদের অপরাধ?
একশো দিনের কাজ, আবাসের তালিকায় নাম তোলার দাবি বামপন্থী গণ সংগঠনের ডাকে বিক্ষোভে যোগ দিয়ে এমনই বলছেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। 
সোমবার সন্দেশখালি-১ বিডিও অফিসে জমায়েত করে ১৫ দফা দাবিতে সোচ্চার হন শয়ে শয়ে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। বিডিও অফিসের মূল প্রবেশদ্বারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ঠেকাতে তখন রণংদেহী মনোভাব নিয়ে পুলিশের জমায়েত ব্যারিকেড করে। চলতে থাকে স্লোগান স্লোগান। তারা আওয়াজ তোলেন, ১০০দিনের কাজ কেন বন্ধ বিজেপি জবাব দাও। সরকারি প্রকল্পের কাজের সুযোগ থেকে কেন আমার বঞ্চিত তৃণমূল জবাব দাও। তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কেন ঘরের টাকা ঢুকলো না বিডিও তুমি জবাব দাও। আন্দোলনের ঝাঁঝ বুঝতে পেরে শেষমেশ ৮জনের প্রতিনিধিদলকে বিডিওর কাছে ডেপুটেশনে যেতে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। 
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়েছিলেন? প্রশ্ন শুনেই বললেন, অনেকবার গেছি। বিডিও অফিসে এসে বিডিও-কে বলেছি একটা ঘর দাও। বয়ারমারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাহাতো পাড়া, সিং পাড়ার বাসিন্দা রাজোবালা সর্দার, লক্ষ্মী সিং, প্রতিমা সর্দার, অঞ্জলি মাহাতো, বৃহস্পতি মাহাতো, আরতি বালা মাহাতোরা এমনই অভিযোগ করলেন গণডেপুটেশনে এসে। ঘর পাননি ভোলাখালির লক্ষ্মী সর্দার ভবানী সর্দার।কালিনগরের সহিদুল গাজি,বড় সেহেরার কানাই সর্দার, দুলাল নাথের নাম ছিল তালিকায়। তারপরেও বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর জোটেনি।নিত্যবেড়িয়া সিং পাড়ার বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় নাথ,বড় সেহেরার গুরুপদ সর্দারের অভিযোগ সিপিএম করার অপরাধে পানীয় জল থেকে বঞ্চিত।নিত্যবেড়িয়ার ঘোলা পাড়ার শঙ্কর নাথ জানান দু কিমি দূরে যেতে হয় পানীয় জল আনতে। বার্ধক্যভাতা পাচ্ছিলেন। কোন অজানা কারণে ৮মাস যাবৎ বার্ধক্য ভাতার টাকা পান না বয়ারমারির চুঁচুড়া গ্রামের লক্ষ্মণ সর্দার। ৯মাস অতিক্রান্ত।বড় সেহেরার হাজারি কর্মকারের কৃষি পেনশন বন্ধ।এমনি হাজারো অভিযোগ নিয়ে এসেছিল জনতা।

Comments :0

Login to leave a comment