MURSHIDABAD SALIM

দিনভর মাটি কামড়ে লড়াই মুর্শিদাবাদে

রাজ্য লোকসভা ২০২৪

করিমপুরের শুভরাজপুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মহম্মদ সেলিম।

সারাদিন ধরে একনাগাড়ে মাটি কামড়ে লড়ে গেলেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস কর্মীরা। সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিলেন সিপিআই(এম) প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। 
মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় টানা প্রতিরোধের দৃশ্যপট ধরা পড়ল সর্বত্র। তৃণমূল কংগ্রেস সারাদিন ধরেই গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছে। খবর পেয়েই পৌঁছে গিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক। সেলিম সরাসরি যোগাযোগ করেছেন কমিশনে, কখনও বলেছেন পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে। কমিশনে অভিযোগও জানানো হয়েছে নিয়মিত।
এদিন সকাল থেকে গোটা কেন্দ্র চষে বেড়ান মহম্মদ সেলিম। কখনও ডোমকল,কখনও রানীনগর, আবার কখনও জেলা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৬০-৭০ কিলোমিটার দূরে নদীয়ার করিমপুর বিধানসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যেখান থেকেই তৃণমূলের ভোট সন্ত্রাসের খবর মিলেছে, সেখানেই ছুটেছেন প্রার্থী।

করিমপুরের শুভরাজপুরে তৃণমূল-পুলিশের বাধায় গ্রামবাসীদের একাংশ ভোট দিতে পারছিলেন না। নিজে এলাকায় পৌঁছে তাঁদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেন মহম্মদ সেলিম। কিছুক্ষণ সেখানে থাকেনও তিনি। গল্পগুজব করেন বাকি গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তাঁদের মনোবল বাড়িয়ে তবেই এলাকা ছাড়েন প্রার্থী।
একই কায়দায় রানিনগরের নওদা কেশবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে সাধারণ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল।  খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হন মহম্মদ সেলিম। দুষ্কৃতীদের সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া ফের শুরু করান তিনি। করিমপুরের থানারপাড়া অঞ্চলের ৩৫ নম্বর বুথেও ভোট প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল কর্মীরা। নির্বাচন কমিশনকে সক্রিয় করে সেই অবরোধ সরান সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক।

দুপুরে ডোমকলে দুপুরের বিরতি। খানিক বিশ্রাম নিয়ে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেন সেলিম। শরীরী ভাষা থেকেই স্পষ্ট, এই নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী  হতেই পারেন সিপিআই(এম) কর্মী-সমর্থকরা।

গোটা ভোট প্রক্রিয়ায় আড়ালে থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়ার রুমের স্বেচ্ছাসেবকরা। বহরমপুরের সিপিআই(এম) জেলা পার্টি অফিসে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ওয়ার রুম খোলা হয়। গোটা রাজ্য থেকে  ছাত্র, যুব সহ বাছাই কর্মীদের নিয়ে আসা হয় সেই ওয়ার রুমে। ওয়ার রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বের কথায়, সারাদিনে মোট ১৮১ টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। সিংহভাগ অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। কোনও বুথে সামান্য গন্ডগোলের আভাস পেলেই আমরা তৎপর হয়েছি। কমিশনকে বাধ্য করা গিয়েছে সেই এলাকায় বাহিনী পাঠাতে।

এই জোড়া তৎপরতার ফলে দীর্ঘদিন পরে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের মানুষ মোটের উপর শান্তিতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন।

Comments :0

Login to leave a comment