মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর কালেই মৃতদেহ ময়না তদন্ত বন্ধ করে দিলেন চিকিৎসকেরা। দেহ নিতে এসে হয়রানির শিকার পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে বেশ কয়েক মাস ধরেই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তপক্ষ নিয়ম মাফিক জেলা পুলিশ এবং পৌর প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল যাতে শনাক্ত নয় এমন দেহের শেষকৃত্য পর্ব সেরে ফেলা হয়। কারণ এমন দেহের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কাজে সমস্যা হচ্ছে। পচন ধরায় তীব্র দুর্গন্ধের পরিবেশ তৈরি হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল লাগোয়া পুলিশ মর্গে।
সোমবার জেলার বিভিন্ন থানা থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠালেও বিকেল পর্যন্ত কোনো কাজ করতে আসেননি নিযুক্ত কোনো চিকিৎসক।
মর্গে বাইরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষারত কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত ডেঙ্গুয়া ঝাড় চা বাগানের বাসিন্দা সুরেশ লাকরা জানান যে তাঁর পরিজনের মৃতদেহের খোঁজ মৃত্যুর অনেক দিন বাদে পাওয়া গিয়েছিল। তার ওপর চিকিৎসকরা কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় মর্গ থেকে মিলছে না।
অপরদিকে এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ভাস্কর ভট্টাচার্য টেলিফোনে জানান, "২০১৮ সাল থেকে মৃতদেহ মর্গে পরে আছে, শেষকৃত্যের ব্যবস্থা হয়নি। বহু বার এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। মর্গে দুর্গন্ধ এবং দেহগুলিতে ম্যাগোট পোকা ভরে গিয়েছে। এমন পরিবেশে ময়না তদন্তের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হলাম আমরা।"
এই সময়ই জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সংশ্লিষ্ট সব অংশ দেখতে চাইছেন যে অব্যবস্থা মোকাবিলায় তিনি কোনও পদক্ষেপ নেন কিনা।
Comments :0