কর্পোরেটদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করছে আরএসএস-বিজেপি। আবার নির্বাচনে বিজেপি’র চাহিদা অনুযায়ী তহবিল ভরছে কর্পোরেটরা। আর এই দু’পক্ষের বোঝাপড়ায় তীব্র শোষণের শিকার দেশের শ্রমজীবীরা। তার বিরুদ্ধে সংগ্রামকে তীব্রতর করবে সিপিআই(এম)।
রবিবার প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি।
এক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, শিক্ষা এবং সংস্কৃতি। এই দু’টি ক্ষেত্রকে পুরপুরি কবজায় নিতে চাইছে আরএসএস। নিজেদের ফ্যাসিবাদী ধারণার প্রচার এবং সমাজে তাকে গ্রহণযোগ্য করতে প্রবল সচেষ্ট এই বাহিনী। আবার কর্তৃত্ববাদ বিরোধী বিভিন্ন অংশ, বহু ব্যক্তিবর্গ প্রতিরোধে শামিল।
বেবি বলেছেন, সংস্কৃতির জগতে বিভিন্ন অংশের মধ্যে ধৈর্য ধরে কাজ করতে চায় সিপিআই(এম)। কর্তৃত্ববাদ, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ বিরোধী লড়াইয়ে নামতে আগ্রহী অংশের সঙ্গে চালাতে হবে কাজ। লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পীদের মধ্যে কাজ করার কথা বলেছেন তিনি। বেবি বলেছেন যে প্রয়োজনে রাজনীতির অন্য বিভিন্ন প্রশ্নে ফারাক থাকলেও চালাতে হবে কাজ।
শ্রমকোড চালু এবং মনরেগাকে বাতিল করে অন্য নামে আইন চালুর প্রসঙ্গ এসেছে সাক্ষাৎকারে। দু’টি ক্ষেত্রেই লড়াই চলছে। সেই লড়াই জারি থাকবে, তীব্রতর হবে, বলেছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক।
মনরেগা বাতিলের প্রশ্নে তিনি বলেছেন যে কেবল আইন করে মহাত্মা গান্ধীর নাম সরিয়ে দেওয়া নয়। বস্তুত ‘মনরেগা’ আইনে চাহিদা অনুযায়ী কাজ দেওয়ার যে স্বীকৃতি ছিল তাকেই খারিজ করার ব্যবস্থা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তিনি মনে করিয়েছেন যে পূর্বতন মনমোহন সিং সরকারের সময়ে একশো দিন কাজের আইনি অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ব্যাপক লড়াই চালাতে হয়েছিল বামপন্থীদের।
এই প্রসঙ্গেই বেবি বলেছেন, আরএসএস নিয়ন্ত্রিত সরকার কাজের আইন থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম বাদ দিয়েছে। ভবিষ্যতে টাকার ওপর মহাত্মার ছবি বাদ দিলেও অবাক হব না।
সংসদীয় প্রক্রিয়ার ওপর হামলার প্রসঙ্গও তোলেন বেবি। তিনি বলেন যে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির বহু বিষয়ে তীব্র মতবিরোধ ছিল। কিন্তু সংসদে বিরোধীদের মত জানানোর ক্ষেত্রটি আজকের মতো সঙ্কুচিত হয়নি।
বেবি বলেন যে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় প্রবীণ সাংবাদিকরা অতীতের বহু ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতেন। তাঁরা বলতেন যে সংসদের কোনও কক্ষ ছেড়ে জরুরি কাজে বেরতে হতে নেহরুজীকেও। কিন্তু বেরনোর সময় যদি দেখতেন একে গোপালনের মতো কোনও কমিউনিস্ট নেতা বা বিরোধী কোনও নেতা বক্তব্য রাখতে উঠেছেন, তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন। বক্তব্য শুনতেন। এমনকি ফিরে গিয়ে নিজের আসনে গিয়ে বক্তব্যও জানাতেন।
বেবি বলেন, এই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
MA BABY
কর্পোরেট-সঙ্ঘ বোঝাপড়ায় তীব্র হচ্ছে শোষণ, লড়াইয়ের আহ্বানে বললেন বেবি
×
Comments :0