অরিজিৎ মণ্ডল ও পূজা বসু
উত্তর দমদম থেকে এসেছেন দুর্গা মালাকার, স্বপ্না মৈত্র। দুজনেই পেশায় আশা কর্মী। একজন প্রায় দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে আশা কর্মীর কাজ করছেন অন্যজন প্রায় ২৫ বছর। দুর্গা দেবীর কথায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বলেই এই সমাবেশে আসা। রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার যখন দায়িত্ব পালন করেছে তখন আমাদের এই দুর্দশা ছিল না। শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার দিতে বামফ্রন্ট কুণ্ঠাবোধ করেনি। ২০১১ সালের পর থেকেই সরকার আমাদের ব্রাত্য করেছে। আশা কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি আমাদের সরকারি কর্মী হিসেবে গণ্য করতে হবে। কিন্তু সরকার কিছুতেই সরকারি কর্মী হিসেবে গণ্য করতে রাজি নয়। আসলে সরকার চাইছে না দায়িত্ব নিতে। সরকারি কর্মী হিসেবে গণ্য করলেই তো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। বর্তমানে তাদের মাইনে মাত্র ৫২৫০ টাকা। ২০১১ সালে ৩১০০ টাকা। পনের বছরে যে হারে মাইনে বাড়ার কথা ছিল সেই অনুযায়ী বারেইনি উল্টে অন্যান্য খরচ। বর্তমানে এর মাধ্যমে সমস্ত তথ্য পাঠাতে হয় সরকারের কাছে। দীর্ঘ আন্দোলন করে ফোনের টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার হয়েছে ইন্টারনেটের খরচ দিতেও। কিন্তু সরকার প্রতি মাসে ইন্টারনেট বাবদ মাত্র ২০০ টাকা দেয়। যা ৩৫০ টাকা লাগে। এই আন্দোলন ও তারা দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছেন। বাংলা বাঁচাও যাত্রার কাছে তাদের প্রত্যাশা রাজ্যে একদিকে দুর্নীতি ও বিভাজনের যে এজেন্ডা তাকে হারিয়ে শ্রমজীবী মানুষের বক্তব্যকেই যাতে তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে।
উত্তর কলকাতা থেকে এসেছেন অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের কর্মী অসিত রায়। তিনি বলেছেন, এই যাত্রা অবশ্যই আলাদা। মানুষের দাবি তুলে ধরেছে। বর্তমানে বিভাজন, দুর্নীতির রাজনীতিকে হারাতে পারে জীবিকার দাবি। শুধু দাবি করা নয়। মানুষকে একজোট করার কাজও সংগঠিত হচ্ছে। দেশের বিজেপি সরকার ধর্মীয় বিভাজনকে সামনে রেখে ভাগ করছে তার বিরুদ্ধে লড়ছে বামপন্থীরাই।
বিরাটি থেকে বেলঘরিয়া আসার পথে রাস্তার দু’ধারে লাল পতাকা। দু’ধারে মিছিলের জন্য অপেক্ষা করছেন মানুষ। চায়ের দোকান থেকে রাস্তার সর্বত্র এই যাত্রা নিয়ে আলোচনা শোনা গিয়েছে।
Comments :0