Maharshtra Election

মহারাষ্ট্রে ভোটের হার বাড়ায় সুবিধা কার, বোঝা যাবে কাল

জাতীয়

আগের বারের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে ভোটের হার। ২০১৯’র তুলনায় ভোটদানের হার বৃদ্ধি লক্ষ্যণীয় বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। 
রাজ্যে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই জোট, বিজেপি’র ‘মহায়ুতি’ এবং কংগ্রেসের মহা বিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ), নিজের নিজের পক্ষে ভোটদানের হার বৃদ্ধিকে ইতিবাচক বলে দাবি করেছে। এ বছরই, লোকসভা ভোটের প্রবণত বজায় থাকবে কিনা নজর থাকবে সেদিকেও।
শনিবার, ২৩ নভেম্বর, গণনা হবে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খন্ড বিধানসভার। পশ্চিমবঙ্গের ৬ আসন সহ একাধিক রাজ্যে উপনির্বাচনের ফলও গণনা হবে। 
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন জানায় যে চূড়ান্ত হিসেবে মহারাষ্ট্রে এবার ভোটদানের হার ৬৬.০৫ শতাংশ। প্রাথমিক হিসেবে কমিশন ৬৫.১ শতাংশ হার জানিয়েছিল। ১৯৯৫ সালে রাজ্য বিধানসভায় ভোটদানের হার ছিল ৭১.৬৯ শতাংশ। তারপর এবারই সর্বোচ্চ হার ভোটদানের। 
মহারাষ্ট্রে বিধানসভার মোট আসন ২৮৮। গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৪৫ আসন। বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষার বেশিরভাগ বিজেপি জোটকে এগিয়ে রাখলেও এই পূর্বাভাস মানতে নারাজ শিবসেনা নেতা উদ্ধব থ্যাকারে। তিনি শুক্রবার বলেছেন, ‘‘লোকসভা ভোটের সময় নরেন্দ্র মোদীর চারশো আসন পারের স্লোগানে সায় দিয়েছিল বহু সমীক্ষা সে হিসেব মেলেনি। সদ্য হরিয়ানার ভোটে কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছিল, সেই হিসেবও মেলেনি।’’
২০১৯’র বিধানসভায় বিজেপি জয়ী হয়েছিল ১০৫ আসনে। শরিক অবিভক্ত শিবসেনা জয়ী হয় ৫৬ আসনে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে নারাজ ছিল বিজেপি। জোট ভেঙে যায়। উদ্ধব থ্যাকারে কংগ্রেস এবং অবিভক্ত এনসিপি’র সঙ্গে জোট গড়ে সরকারে আসেন। 
পরের ধাপে ভেঙে যায় এনসিপি এবং শিবসেনা। শিবসেনার বেরিয়ে যাওয়া অংশের নেতা একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করে ফের সরকারে আসে বিজেপি। এনসিপি’র একাংশ ভেঙে নিয়ে বেরিয়ে এই জোটেই যোগ দেন অজিত পাওয়ার। 
কিন্তু এ বছর লোকসভা ভোটে রাজ্যের মোট ৪৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের এমভিএ পায় ৩০ আসন। বিজেপি জোট ‘মহায়ুতি’ জয়ী হয় ১৭ আসনে। ১টি আসনে জয়ী হন নির্দল প্রার্থী।
‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ প্রচার করে হিন্দু ভোট মেরুকরণের চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আরও আগ্রাসী ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগান দেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আসলে হিন্দু ভোট ভাঙার চেষ্টা হলে হামলার হুমকি দিয়েছেন যোগী। জোট শরিকরা পর্যন্ত এই মন্তব্যকে সমর্থন জানাননি।  
জাতভিত্তিক জনগণনার দাবিতে সরব ছিল কংগ্রেস জোট। রাজ্যের বিনিয়োগ গুজরাটে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করেছে কংগ্রেস জোট। কৃষি সঙ্কট, কৃষক আত্মহত্যা, বেকারির প্রচারও ছিল। সংবিধান রক্ষার প্রচারও করেছে কংগ্রেস। 

এরাজ্যে ৩ আসনে লড়ছে সিপিআই(এ্ম)। দাহানু কেন্দ্রে গতবারও জয়ী হয়েছিলেন সিপিআই(এম) প্রার্থী বিনোদ নিকোলে। কলওয়ান কেন্দ্রে প্রার্থী জেপি গাভিট এবং সোলাপুর সিটি সেন্ট্রালে প্রার্থী নরসাইয়া আদম। দাহানু এবং কলওয়ানে সিপিআই(এম) প্রার্থীদের সমর্থন করছে এমভিএ।
 

Comments :0

Login to leave a comment