TMC METTING

রাজ্যজুড়ে অন্তর্দ্বন্দ্বের মধ্যে নেতাজী ইন্ডোরে তৃণমূলের সভা করবেন মমতা

রাজ্য কলকাতা

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভা হবে। ওই দিন সকাল ১১টা থেকে বৈঠকে শুরু হওয়ার কথা। 
রাজ্যজুড়ে দলের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘাতের আবহে এই সভা ঘিরে আলোচনা রয়েছে বিভিন্ন স্তরে।
সূত্রের খবর বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, দলের পদাধিকারিদের বৈঠকে ডাকা হবে। দলের তরফে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হবে। সেই আমন্ত্রণ পত্র পেলেই থাকা যাবে বৈঠকে। বৈঠক থেকে কী বার্তা দেন মমতা ব্যানার্জি সেই দিক তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। 
রাজ্যের একাধিক জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। মালদহ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব। বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গিয়েছে রক্তক্ষয়ী বিবাদের মূলে রয়েছে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ। বখরা নিয়ে দ্বন্দ্বে খুনোখুনিতে বহু এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে ত্রাস। বোমা ফেটে মৃত্যু হচ্ছে শিশু-কিশোরদের। 
গত শনিবার বীরভূমে এক তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে আরেক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে বীরভুমে ফেরার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে লাল মাটির জেলা। অনুব্রত মন্ডল জেলে থাকার সময় গোটা জেলার নিয়ন্ত্রণ ছিল কাজল শেখ গোষ্ঠীর হাতে। 
বামপন্থীরা বারবারই বলে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব টাকার ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে। গত সপ্তাহে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। সেই ঘটনায়ও যোগ পাওয়া গিয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের। বিরোধীদের অভিযোগ ২০২৬’র বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেআইনি অস্ত্র মজুত করছে শাসক দল। 
মালদহে তৃণমূলের কাউন্সিলরকে দিন দুপুরে খুন হতে হয়েছে। খুনের প্রধান চক্রী হিসাবে পুলিশকে গ্রেপ্তার করতে হয়েছে তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ স্বপন শর্মাকে। নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী প্রথম থেকেই বলেছিলেন দলের লোকই খুন করেছে দুলালকে। রয়েছে ‘বড় মাথা’!
উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে রাস্তায় ফেলে ইট দিয়ে থেতলে খুন করা হয় এক তৃণমূলের নেতাকে।
সব স্তরেই আলোচনায় রয়েছে পিসি-ভাইপো দ্বন্দ্ব। নির্বাচন কমিশনে রাজ্যের একটি নতুন দল নথিভুক্ত হওয়ার খবর ঘিরেও আলোচনা তুঙ্গে। মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে অভিষেক ব্যানার্জির এই দ্বন্দ্ব সংঘাতও দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। বামপন্থীরা বলেছেন দুর্নীতি বা গণতন্ত্র বিনাশ নিয়ে দ’পক্ষে কোনও নীতিগত সংঘাতই নেই। তৃণমূলের সব পক্ষই এমন কাজে লিপ্ত।  
এই পরিস্থিতিতেই রাজনৈতিক মহলে অনুমান, রাশ হাত রাখতে একাধিক সাংগঠনিক রদবদল করতে পারেন মমতা ব্যানার্জি। দল যে তাঁরই, সম্প্রতি বিভিন্ন সাংগঠনিক সভায়, নিজের মুখেই তা বলতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। বিধানসভায় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেও বলতে হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, শাখা সংগঠন থেকে দলীয় সাংগঠনিক পদে হতে পারে রদবদল।

Comments :0

Login to leave a comment