NITI AAYOG MODI

বিকাশে রাজ্যকেও দরকার, বরাদ্দ কেটে নীতি-ভাষণ মোদীর

জাতীয়

তীব্র বঞ্চনার প্রতিবাদে নীতি আয়োগের বৈঠকেই যোগ দেননি দশ মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্রীরি মমতা ব্যানার্জি ছাড়া বিরোধী মুখ্যমন্রীঞ্রা এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আগেই। শনিবার নীতি আয়োগের সেই বৈঠকেই প্রধানমন্রীতির দাবি, ২০৪৭’র মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশের স্তরে নিয়ে যেতে হবে। কেন্র্ন এবং রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে ভূমিকা পালন করতে হবে। 
নরেন্র্ত মোদী বলেছেন, ‘‘ ২০৪৭’র মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-র লক্যে ে পৌঁছানো সব ভারতীয়ের আকাঙ্ষা‘ে। রাজ্যগুলিকেও কেন্রেভার সরকারের সঙ্গে ভূমিকা নিতে হবে। কারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তারাই।’’ 
মোদী সরকারের নীতি যদিও একেবারেই উলটো। বস্তুত সমানে কমছে রাজ্যগুলির বরাদ্দ। বিশেষ করে বিজেপি বিরোধী দল রাজ্যে আসীন থাকলে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে ন্যায্য পাওনা। 
কর বাবদ সংগৃহীত অর্থের পুনর্বন্টন বাদে রাজ্যগুলির জন্য অর্থ কমিশনের অনুদান সমানে কমছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই খাতে অনুদান ছিল ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কমে হয় ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষ, ২০২৪-২৫’র জন্য বাজেটে আরও কমিয়ে করা হয়েছে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। 
সরকার রাখতে যে দুই দলের সমর্থন জরুরি, সেই তেলুগু দেশম এবং জনতা দল (ইউ)-কে খুশি রাখতে কেবল কিছু বরাদ্দ হয়েছে অন্র্ম প্রদেশ এবং বিহারের জন্য। 
নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুবব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন রাজ্য এবং কেন্র্দশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে বৈঠকে যোগ দেননি দশ মুখ্যমন্রীযি।
কিন্তু ‘বিকশিত ভারত’ স্লোগান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে একগুচ্ছ। কার বিকাশ, এই প্রশ্ন তুলছে বামপন্থী দলগুলির পাসাপাশি বিরোধীরা। কেননা দেশে কর্পোরেটের মুনাফা বিপুল অঙ্কে বাড়ার তথ্য স্বীকার করা হয়েছে কেন্রীশ্য় অর্থ মন্র্নকের পেশ করা অর্থনৈতিক সমীক্ষাতেই। সরকার যে কর্পোরেটকে বিপুল অনুদান দিচ্ছে, স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে সেই তথ্যও। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পক্ষে এই নীতির অসারতাও কার্যত মেনে নিয়েছে অর্থনৈতিক সমীক্ষা দলিল। 
নরেন্র্য মোদীর সরকার সংসদেই জানাচ্ছে যে পাঁচ বছরের কম শিশুদের ৬০ শতাংশ অপুষ্টিতে আক্রান্ত। ১৭ শতাংশ শিশুর ওজন কম। অত্যন্ত দুর্বল ৬ শতাং শিশু। ৩৬ শতাংশ শিশুর উচ্চতা কম। 
সরকারই সংসদে জানিয়েছে যে ৫০ শতাংশ কৃষক পরিবারের ভারী ঋণ রয়েছে। 
নরেন্র্য় মোদী সরকারের মেয়াদেই যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে চালু হয় নীতি আয়োগ। প্রথমে বামপন্থীরাই বলেছিলেন, পরে অন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও বলেছে যে কেন্র্ন এবং রাজ্যের পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে প্রকল্প বাছাই করার ব্যবস্থাই তুলে দেওয়া হয়েছে। 
শনিবারও সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘নীতি আয়োগে কোনও নীতি নির্ধারণ হয় না। সে জন্যই তো যোজনা কমিশন তুলে দেওয়া হয়েছে। হয় নাগপুর বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সিদ্ধান্ত হয়।’’ 
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও বলেছেন, ‘‘নীতি আয়োগ রাজনৈতিক বাছবিচার করেই কেবল কাজ করে। পেশাদারিত্ব এবং স্বাধীনতা, দুয়েরই অভাব রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে।’’ মমতা ব্যানার্জির মাইক বন্দ করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ভিন্নমত থাকলেই মুখ বন্ধ করা হয়। গণতন্রেপ্র জন্য ভিন্নমত শোনাও জরুরি।’’

Comments :0

Login to leave a comment