জীবনের ঝুঁকি নিয়েই স্থানীয়রা চলে এসেছিলেন। ‘পনি’বা টাট্টু চালকরা ঢুকে পড়েছিলেন পার্কে। তখন ধীরে ধীরে সরে যায় সন্ত্রাসবাদীরা।
সূত্রের উল্লেখ করে পহেলগামের বৈসরনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা এভাবেই তুলে ধরা হয়েছে একটি জাতীয় দৈনিকে। ঘটনার ভিডিও স্থানীয় একজনের কাছে রয়েছে বলে খবর ছড়িয়েছে। সেই স্থানীয়কে নিয়ে বৈসরনে গিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ এবং তদন্তে জড়িত একাংশকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানাচ্ছে ওই জাতীয় দৈনিক। সেই স্থানীয় হামলার সময় লুকিয়ে গাছে উঠতে পেরেছিলেন। সেখান থেকেই মোবাইলে ধরে রেখেছিলেন ঘটনার ফুটেজ।
গত ২২ এপ্রিল বৈসরনে পর্যটকদের সমাগম কত ছিল, সেই তথ্যও সামনে আসছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার সময় পার্কে অন্তত ৪০০ পর্যটক ছিলেন। ঘটনার আগে পর্যন্ত ১ হাজার টিকিট বিক্রি হয় পার্কের। তবে প্রাথমিক এই তথ্য পাওয়া গেলেও পার্কে তরফে নির্দিষ্ট সংখা, জানানো হয়নি ঘটনার প্রায় আটদিন পরও।
পহেলগামের থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূর হলেও বৈসরন খাড়া পাহাড়ের ওপর। সবুজ উপত্যকায় ওঠার কোনও মোটর যান নেই। পায়ে হেঁটে বা টাট্টু চড়ে যেতে হয়। আদিল আহমেদ শাহ, নজাকত আহমেদ শাহেরা স্থানীয় সেই যুবক যাঁরা টাট্টু চালান। গাইডেরও কাজ করেন। পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়েই নিহত হন আদিল। আর নজাকত অন্তত ১১জনকে নিরাপদে নামিয়ে আনেন। তার মধ্যে ছত্তিশগড়ের এক বিজেপি নেতাও ছিলেন। স্থানীয় যুবক সাজাদ আহমদ ভাট পিঠে করে নামিয়েছিলেন আহত পর্যটককে। সেই ছবিএ ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, এনআইএ বা জাতীয় তদন্ত সংস্থা এখন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছে। এর আগে বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত পর্যটক পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন এনআইএ’র গোয়েন্দারা।
পহেলগামের কাছে একাধিক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে বেতাব ভ্যালি, চন্দনওয়ারি বা আরুতে যেমন সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের সর্বদা দেখা যায় বৈসরন তা বেশ কিছু সময় চোখে পড়েনি। অথছ, এই বৈসরনই দেশের এবং বিদেশের পর্যটকদের কাছে ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’।
পর্যটক এবং স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন যে বৈসরনের তার ঘেরা পার্কে ঢোকার সময় বেড়া ভেঙে দিয়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। ধীরে ধীরে ঢুকে হত্যাকাণ্ড চালায় তারপর। বেড়া ভাঙা থাকায় বাইরে দাঁড়ানো পনি চালকরা ঢুকে পড়তে পেরেছিলেন প্রাণের মায়া ছেড়ে। তাঁরপরই সরে যেতে থাকে হত্যাকারীরা।
Pahalgam NIA
গুলির মধ্যেই পর্যটকদের বাঁচাতে ঢোকেন,এনআইএ তথ্য নিচ্ছে স্থানীয়দের থেকে

×
Comments :0