CHESS CHAMPION MRTTIKA

দাবায় দেশের সেরা হয়েও স্পনসর পায়নি বাংলার মৃত্তিকা

রাজ্য খেলা জেলা

CHESS CHAMPION MRTTIKA অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন মৃত্তিকা মল্লিক। ছবি অভীক ঘোষ।

দাবা কে সঙ্গী করে এগোতে চায় মৃত্তিকা। 
জলন্ধরে দাবায় সদ্য জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাড়ি ফিরেছে মৃত্তিকা। বাবার আক্ষেপ, মেয়েকে যদি বাংলার বাইরে কোনো রাজ্যে নিয়ে গিয়ে খেলাতে পারতেন! 

জলন্ধরে গত ১-৯ মে অনুষ্ঠিত সতের বছরের কম বিভাগের জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চুঁচুড়ার মৃত্তিকা মল্লিক। গত বছর অনূর্ধ্ব ১৪ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তার আগে অনূর্ধ্ব ষোলোয় জাতীয় রানার্স। 

একের পর এক সাফল্য মৃত্তিকার মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি। বরং তাকে আরো বেশি করে অনুশীলনে ব্যস্ত করেছে। দিনে দশ বারো ঘন্টা অনুশীলন চলছে তার। জুন মাসের ১-৯ তারিখ মহারাষ্ট্রের নাগপুরে বসবে আন্তর্জাতিক স্তরের আসর। দেশ বিদেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেবেনে। মৃত্তিকাও খেলবে সেখানে। তারপর ওডিশাতেও হবে আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতা। 

এবছর জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে মৃত্তিকা। বিদেশেও যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে।  তবে খরচের কথা ভেবে চিন্তিত বাবা অরিন্দম মল্লিক। তিনি বলেন, ’‘এক একটা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ খেলায় ত্রিশ চল্লিশ হাজার টাকা খরচ। বিদেশে গেলে তা আরো বেশি। মৃত্তিকা এখনো কোনো স্পনসর পায়নি। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মহারাষ্ট্রের একটি সংস্থা এক লাখ দুই হাজার টাকা দিয়েছে। ওএনজিসি দিয়েছে ষাট হাজার টাকা। বাংলা থেকে কোনো শুভেচ্ছা বার্তাও আসেনি। বাংলা দাবা সংস্থার সভাপতি প্রাক্তন দাবারু দিব্যেন্দু বড়ুয়া। তাঁর কাছেই দাবা শিখছে মৃত্তিকা। এছাড়া ইউক্রেনে একজনের কাছে অনুশীলন করে। যার খরচ অনেক।’’ 

অরিন্দম মল্লিক বলেন, ‘‘আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘর থেকে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া খুবই কষ্টের। তবু সাধ্যের বাইরে গিয়ে মেয়ের জন্য চেষ্টা করছি। দেখা যাক কী হয়। তবে সুযোগ পেলে বাইরে কোনো রাজ্যে মেয়েকে নিয়ে যেতাম।’’
মৃত্তিকার লক্ষ গ্রান্ড মাস্টার হওয়া।সেই লক্ষে লড়াই চলছে।

Comments :0

Login to leave a comment