জলপাইগুড়ি জেলার দ্বিতীয় মহকুমা শহর মালবাজার। শহরের উপকন্ঠে চাবাগান এলাকায় দেখা গেছে বাঘের উপস্থিতি বলে দাবি চা বাগানের শ্রমিকদের। যদিও বনকর্মী ও পরিবেশ প্রেমীদের দাবি বাঘ নয়, বড় আকারের চিতাবাঘ হতে পারে।
মালবাজার শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে পুস্পিকা বালিকা বিদ্যালয়। শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকা পেরিয়ে গেলে পড়বে নিউগ্লেনকো চা বাগান। ঘন চা বাগান ও গাছের ছাঁয়ার মধ্যে দিয়ে গ্রামীণ সড়ক চলে গেছে দক্ষিনের তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকে। সুন্দর ও পরিস্কার পরিবেশের জন্য বহু মানুষ এখানে প্রাত:ভ্রমণ করেন। এই চা বাগানের ঝোপের মাঝে সন্ধ্যায় বাঘ দেখেছেন বলে দাবি চা বাগানের শ্রমিকদের। নিউগ্লেনকো চা বাগানের শ্রমিক অভিষেক মুন্ডা জানান, "গতকাল সন্ধ্যায় এখান দিয়ে যাওয়ার সময় এক জোড়া বাঘ দেখেছি। হলুদ রংয়ের ও গায়ে লম্বা কালো দাগ ছিল। ভয়ে পালিয়ে চলে এসেছি"। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনকর্মীরা। তাঁরা পদচিহ্ন পেলেও বাঘের দেখা পায়নি। তাঁদের অনুমান ওটা বড় চিতাবাঘের পায়ের ছাপ হতে পারে।
অভিষেকের দাবি মানতে চায়নি বিশিষ্ট পরিবেশ প্রেমী মানবেন্দ্র দে সরকার। তিনি বলেন, "খবর পেয়ে আমি ওই এলাকায় যাই। পায়ের ছাপ দেখেছি। আমার ধারণা ওটা চিতাবাঘের। এর আগে মালবাজার শহর সংলগ্ন গুরজংঝোড়া চা বাগানে এরকম খবর পেয়ে গিয়ে দেখেছি ওটা চিতাবাঘের পায়ের ছাপ। বাঘের উপস্থিতি হলে কুকুর নিরব হয়ে যায়। কিন্তু, চা বাগানের রাস্তায় কুকুর দেখেছি। বাঘ এই এলাকায় নেই, তবে প্রচুর চিতাবাঘ রয়েছে। তা দেখেই অনেকের ভ্রম হতে পারে"। তবে বাঘ হোক আর চিতাবাঘই হোক, শহরের উপকন্ঠে এভাবে তাদের উপস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে নিউগ্লেনকো চা বাগান লাগোয়া সুর্যসেন কলোনি ও প্রমোদনগর কলোনির বাসিন্দাদের। এক বন্যপ্রানী বিশেষজ্ঞ বনাধিকারিক বলেন,"চিতাবাঘ বৃদ্ধ হলে তার পিঠে ডোরাকাটা,দাগ হয়। এতে বাঘ বলে বিভ্রান্তি হতে পারে"।
Comments :0