লোকসভা নির্বাচনে কোন আসনে কত ভোট পড়েছে সেই বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য নয় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই কথাই জানালো কমিশন। এর আগে এই মামলার শুনানিতে কমিশন জানিয়েছিল এই বিষয় তথ্য প্রকাশ করতে কোনো সমস্যা নেই, শুধু একটু সময় লাগবে। বৃহস্পতিবার সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা জানালো কমিশন। এদিন একটি হলফনামায় সাতটি আপত্তি দর্শানো হয়েছে এই বিষয়ে। মামলাটি শুক্রবার অবকাশকালীন বেঞ্চের উত্থাপিত হবে।
এডিআর (গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য অলাভজনক সংস্থা) এবং চলতি লোকসভা নির্বাচনের বিষয়ে অবিলম্বে ভোটারদের ভোটের আসন ভিত্তিক তথ্য প্রকাশের জন্য দায়ের করা আবেদনের বিরোধিতা করে, ECI সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে যে ফর্ম 17C ডেটার তথ্য প্রকাশ করলে ‘‘ছবি পরিবর্তনের সম্ভাবনা, গণনা ফলাফল সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য বৃদ্ধি পাবে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনসাধারণের ব্যাপক অস্বস্তি এবং অবিশ্বাস তৈরি করতে পারে’’। একই সাথে শীর্ষ আদালতকে নির্বাচনী বিষয়ে ‘নাক গলাবার’ এক্তিয়ার নিয়েও ‘স্মরণ’ করিয়ে দিয়েছে কমিশন।
হলফনামায় নিম্নলিখিত সাতটি আপত্তির কথা বলা হয়েছে:
১. ফর্ম 17C এর তথ্য প্রকাশ পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অসাধু কার্যকলাপ এবং ক্ষতিসাধনের জন্য উপযুক্ত হবে।
২. ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং গণনার ফলাফলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
৩. আইনের অধীনে, ফর্ম 17C শুধুমাত্র পোলিং এজেন্টকে দিতে হবে। আইন অন্য কোনো ব্যক্তিকে ফর্ম 17C দেওয়ার অনুমতি দেয় না।
৪. মোট সাতটি নির্বাচনী ধাপের মধ্যে পাঁচটি সম্পন্ন হয়েছে (২০ মে পর্যন্ত)। পরবর্তী দুটি ২৫ মে এবং ১ জুন নির্ধারিত হয়েছে।
৫. সংবিধানের 329(b) অনুচ্ছেদের অধীনে, বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আদালতের হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ।
৬. যদি ফর্ম 17C ডেটা ওয়েবসাইটে উপলব্ধ করা হয়, তাহলে পোলিং এজেন্টরা পোলিং কেন্দ্রে পোলিং শেষ হওয়ার আগে ফর্মে স্বাক্ষর করতে নাও থাকতে পারে।
৭. ফর্ম 17C-তে কোনও পোলিং এজেন্টের স্বাক্ষর না থাকলে তা ফর্মের সত্যতাকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে উঠতে পারে এবং আরও সন্দেহ তৈরি করতে পারে।
এছাড়াও কমিশন দাবী করেছে এখনও পর্যন্ত ভোটের জা হার প্রকাশ করা হয়েছে তাতে কোনো অস্বচ্ছতা নেই।
Comments :0