ESTATE TAX RAMESH

‘এস্টেট ট্যাক্স’ ভাষণেও মিথ্যা মোদীর, অভিযোগ রমেশের

জাতীয়

কারও সম্পত্তি বাঁচানোর জন্য নয়। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের ওপর কর বসিয়ে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। সেই কারণেই ‘এস্টেট ট্যাক্স’ বাতিল করা হয়েছিল। 
মধ্য প্রদেশের মোরেনায় বিজেপি’র জনসভায় নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের বিরোধিতায় এই ব্যাখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস। 
মোরেনায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের ওপর কর বাতিল হয়েছিল কেন? কারণ ইন্দিরা গান্ধীর সম্পত্তিকে করের হাত থেকে বাঁচানো হয়েছিল। মোদী যদিও তার আগে এই কর বসানোর চেষ্টায় দায়ী করেছিলেন কংগ্রেসকে।  
রমেশের অভিযোগ, লাগাতার মিথ্যা বলে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। সম্পত্তি, সংরক্ষণের পর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ নিয়েও চলছে মিথ্যাভাষণ। 
প্রধানমন্ত্রী এর আগে কর্ণাটকে বলেছেন যে মৃত্যুর পরও মানুষের সম্পদে নজর দিতে চায় কংগ্রেস। ইশ্‌তেহারে সে রকমই বলা হয়েছে। উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য সম্পত্তিতেও কর বসিয়ে অর্ধেক নিয়ে নিতে চায়।
বিপুল সম্পদের মালিকদের উত্তরাধিকারে কর চালু রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি প্রদেশে। একাধিক দেশে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কংগ্রেস মোদীর বক্তব্যের জবাবে বলেছিল যে ইশ্‌তেহারে এমন কোনও পরিকল্পনা জানানো হয়নি। বরং সম্পত্তির উত্তরাধিকারে চালু ‘এস্টেট ট্যাক্ট’ ১৯৮৫’তে বাতিল করেছিল প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সরকার। 
মোদী এবার রাজীব গান্ধী সরকারের ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীর সম্পত্তি বাঁচানোর সম্পর্ক টেনে এনেছেন। তার জবাবেই রমেশ এদিন বলেছেন, ‘‘রাজীব গান্ধী সরকারের অর্থমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং বাজেট ভাষণে কর বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন যে এই কর বসিয়ে যে আয় হচ্ছে তার তুলনায় কর আদায়ের প্রশাসনিক খরচ বেশি। ফলে বৈষম্য হ্রাস এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের অর্থ জোগানো- এই দু’টি লক্ষ্যের কোনোটিই পূর্ণ হয়নি।’’ ভিপি সিংয়ের বাজেট ভাষণের অংশও তুলে দেন তিনি। 
ভারতে বিভিন্ন অংশ মনে করে যে বিপুল সম্পত্তিবানদের ওপর সম্পত্তি কর এবং উত্তরাধিকারী সূত্রে পাওয়া সম্পদের ওপর কর বসানো উচিত। এই অংশ নানাভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধা বা কর ছাড় পায় সবচেয়ে বেশি। সামান্য হারে কর বসলেও শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে ব্যয়ের জোগান হয় অনেকাংশে। মোদী সরকারের মেয়াদে সম্পত্তি কর বাতিল বা কর্পোরেট করের হার কমানোর বিরোধীও এই অংশ। সেই সঙ্গে তথ্য এবং প্রমাণ ছাড়াই মোদীর লাগাতার মিথ্যাভাষণের বিরোধীও এমন বিভিন্ন অংশ।

Comments :0

Login to leave a comment