PoW Act Supreme Court

মসজিদ সমীক্ষায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

জাতীয়

মসজিদ সহ সমস্ত উপাসনালয়ে  সমীক্ষা স্থগিত করতে হবে। উপাসনাস্থল আইন সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত দেশের কোনও নিম্ন আদালত বা হাইকোর্ট কোনও উপাসনাস্থলের বিপক্ষে কোনও আবেদন নথিভুক্তও করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ, মথুরার শাহি ইদগাহ, রাজস্থানের আজমেঢ় শরিফ বা উত্তর প্রদেশের সম্ভলের জামা মসজিদের মতো সমীক্ষা সংক্রান্ত মামলায় কোনও রায় দিতে পারবে না নিম্ন আদালত। 
উপাসনাস্থল আইনের বিপক্ষে দায়ের একাধিক আবেদন এর আগে গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত। বিভিন্ন আবেদনে বলা হয়েছে ১৯৯১ সালের এই রায় সংবিধানের পরিপন্থী। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক সংগঠনের ঘনিষ্ঠরাই এই আবেদন দায়ের করেছে। আবার কয়েকটি আবেদনে উপাসনাস্থল আইন প্রয়োগ করে সমীক্ষার নির্দেশ বন্ধ করার আবেদনও জানিয়েছে। 
উপাসনাস্থল আইনে বলা হয় যে ১৯৪৭’র ১৫ আগস্ট, দেশের স্বাধীনতার সময়, ভারতে যে উপাসনাস্থলের চরিত্র যেমন ছিল তা অক্ষুণ্ণ থাকবে। বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির তৈরির দাবিতে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠায় ১৯৯১’র আইন পাশ হয় সংসদে।
২০১৯-এ সুপ্রিম কোর্ট রামমন্দিরের পক্ষে রায় দিলেও উপাসনাস্থল আইনকে বৈধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু নিম্ন আদালতে একের পর এক মসজিদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে দায়ের হচ্ছে আবেদন। সমীক্ষার নির্দেশও দিয়ে দিচ্ছে নিম্ন আদালত। প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন অংশ দাবি করছে যে কয়েকশো বছর আগে মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছিল। তা খতিয়ে দেখে ফের মন্দির বানাতে দিতে হবে! উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদ কোনও মন্দির ভেঙে তৈরি, ২০১৯-এ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এমন উল্লেখ ছিল না।  
উপাসনাস্থল আইন নিয়ে মামলায় পক্ষ হওয়ার আবেদন জানিয়েছে সিপিআই(এম)। শীর্ষ আদালতে পার্টি পলিট ব্যুরো সদস্য এবং কোঅর্ডিনেটর প্রকাশ কারাত এই আবেদন দায়ের করেছেন। 
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ এই সমীক্ষা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন বৃহস্পতিবার।

Comments :0

Login to leave a comment