s. jaishankar- tramp

সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক, বললেন জয়শঙ্কর, ফের সংঘর্ষ বিরতির প্রসঙ্গ ট্রাম্পের ভাষণে

জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেই ফোন এসেছে। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিকই থাকবে। 
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 
এদিনই কাতারের দোহায় ফের সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত যদিও আমেরিকার এই দাবি মানতে নারাজ থেকেই। 
জয়শঙ্কর বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে বহু দেশ থেকে ফোন এসেছে। অনেক দেশের নেতারা আমার সঙ্গেও কথা বলেছেন। তবে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক অবশ্যই দ্বিপাক্ষিক। 
গত ১০ মে সংঘর্ষবিরতি সই হওয়ার ঘোষণা ভারত করার আগেই ট্রাম্প বলে দেন যে তা হতে চলেছে। এমনকি তিনি দাবি করেন যে বাণিজ্য বন্ধ করার হুমকি দিয়ে সংঘর্ষবিরতিতে বাধ্য করেছেন ভারতকে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক এই দাবি মানতে অস্বীকার করলেও বিরোধীরা সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে পহেলগাম পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছেন। 
এদিন জয়শঙ্কর বলেছেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবে পহেলগামের দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 
গত ৬ মে মাঝরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে আক্রমণ করে ভারত। এ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘আমরা আবার বলছি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পরিকাঠামোর উদ্দেশ্যে সামরিক অভিযান হয়নি। সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আঘাতের উদ্দেশ্যেই তা করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানে সেনা ভারতের সেনা পরিকাঠামো এবং বসতি এলাকায় হামলা চালায়। তার জবাব দেওয়া হয়।’’  
দোহায় এদিন ট্রাম্প আবার বলেছেন, ‘‘সংঘর্ষবিরতি আমি করিয়ে দিয়েছি তা বলতে চাইনি। তবে দু’দেশকে সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সহায়তা করেছি। আমরা বলেছি যুদ্ধ নয়, বাণিজ্য চলুক। তাতে ভারতও খুশি হয়েছে। পাকিস্তানও খুশি হয়েছে।’’
জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘অপারেশন সিন্দুরের পর কারা আন্তর্জাতিক স্তরে সহায়তা চেয়েছিল তা পরিষ্কার।’’

Comments :0

Login to leave a comment