ট্রেন দুর্ঘটনায় রাশ টানতে পারছে না ভারতীয় রেল। উত্তর প্রদেশে সুহেলদেব সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস বেলাইনে কারও মৃত্যু না হলেও যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন গভীর হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ন’টা নাগাদ উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ স্টেশন বা অধুনা প্রয়াগরাজ স্টেশনেই হয়েছে দুর্ঘটনা। বেলাইন হয়ে যায় ইঞ্জিন এবং দু’টি কামরা। দিল্লির আনন্দবিহার থেকে উত্তর প্রদেশের গাজিপুর যাওয়ার পথে এলাহাবাদ থেকে তখন ছেড়েছিল সুহেলদেব এক্সপ্রেস। সবুজ সঙ্কেত পেয়েই চলতে শুরু করেছিল ট্রেন।
চলতি সপ্তাহেই অন্ধ্র প্রদেশে পলাশা প্যাসেঞ্জার এবং রায়গড়া প্যাসেঞ্জারের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১৭ জন। দুর্ঘটনার জেরে বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন। রেলের বক্তব্য, রায়গঢ়া প্যাসেঞ্জারের চালকের ভুলে হয়েছে সংঘর্ষ।
বারবারই রেল দুর্ঘটনার দায় চাপায় নিচের স্তরের কর্মীদের ওপর। তদন্ত চালু হলেও শীর্ষ স্তরের গাফিলতি ধরা হয় না, এই অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন অংশেরই। অক্টোবরের গোড়ার দিকে বিহারেও বেলাইন হয়ে পড়েছিল ট্রেন। রঘুনাথপুরে দিল্লি থেকে আসামের কামাখ্যাগামী ট্রেন বেলাইন হয়ে মারা যান ৪ যাত্রী। আহত হন আরও ৭০ জন।
এই পর্বে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা গত জুনে বালেশ্বরে। তিন ট্রেনের সংঘর্ষে আড়াইশোর বেশি যাত্রীর প্রাণহানি হয়েছে। আহত বহু। এই ঘটনার দায়ও রেল কর্মীদের ওপর চাপিয়েছে প্রাথমিকভাবে। অথচ লাইন রক্ষণাবেক্ষণে থেকে পরিকাঠামো উন্নততর করার খাতে কমেছে বরাদ্দ। প্রচুর শূন্যপদ। যাঁরা কর্মরত, বাড়তি চাপ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের।
পরপর দুর্ঘটনায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার দাবি জোরালো হচ্ছে যাত্রীমহলে।
Comments :0