The government stole 3 lakh crore rupees from farmers

কৃষকের ৩লক্ষ কোটি টাকা চুরি সরকারের

জাতীয়

দেবাশিস মিথিয়া

কৃষককে তার ফসলের ন্যায্য মূল্য দিতে সরকার প্রতি বছর খরিফ ও রবি মরশুমে নিয়ম করে ২৩টি ফসলের এমএসপি বৃদ্ধি করে। এ’বছরও  তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবুও দেশব্যাপী সরকার বিরোধী নতুন এই আন্দোলনে দাবি উঠেছে স্বামীনাথন কমিশনের ফর্মুলা মেনে সমস্ত ফসলের  এমএসপি নির্ধারণ ও সেই দামে সব ফসলের সরকারি ক্রয়ের  আইনি নিশ্চয়তা। ২০২২- ২৩ সালে  সরকারি   নিয়ম অনুযায়ী  ধানের এমএসপি  নির্ধারিত হয় কুইন্টাল প্রতি ২০৪০ টাকা। কিন্তু যদি স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ মানা  হতো তাহলে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২৭০৮ টাকায় দাঁড়াতো। ২০১৫-১৬ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত সরকার শুধুমাত্র ধানের ক্ষেত্রেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ কৃষকদের ২,৩৭,০০০ কোটি টাকা কম দিয়েছে। একইভাবে, গমের ক্ষেত্রে কৃষকদের কম দিয়েছে ৫৮,৪৬০ কোটি টাকা। শুধু ধান ও গমেই কৃষকরা ২,৯৬,০০০ কোটি টাকা কম পেয়েছেন।
বিগত পাঁচ বছরের এমএসপি ’র পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২০- ২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ সালে সাধারণ ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ছিল  যথাক্রমে ১৮৬৮ টাকা, ১৯৪০ টাকা, ২০৪৯ টাকা ও ২১৮৩ টাকা প্রতি কুইন্টাল। বার্ষিক বৃদ্ধির হার ৩.৮৫ শতাংশ, ৫.১৫ শতাংশ  ও ৭.০০ শতাংশ। এবছর সাধারণ ধানের এম এস পি বাড়িয়ে ২৩০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল করা হয়েছে। বার্ষিক বৃদ্ধি ৫.৩৬ শতাংশ। যা গত বছরের বৃদ্ধির তুলনায় ১.৬৪ শতাংশ কম।  সাধারণ ধানের এমএসপি’র চেয়ে কুইন্টালে ২০ টাকা অতিরিক্ত দিয়ে গ্রেড— এ ধানের এমএসপি নির্ধারণ করা হয়। বৃদ্ধির শতকরা হিসাবে এখানেও একই ছবি অর্থাৎ গতবারের তুলনায় কম। অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও এমএসপি বেড়েছে  ১.৪৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ। ১৪ টি খরিফ শস্যের মধ্যে ধান সহ জোয়ার, বাজরা, ভুট্টা, মুগডাল, বাদাম, সয়াবিন, তিল ও তুলোর ক্ষেত্রে নতুন সরকারের ঘোষিত এমএসপি-তে  দেখা যাচ্ছে বৃদ্ধির হার গতবারের চেয়ে কম। মুগ ডালের এমএসপি বেড়েছে মাত্র ১.৪৫ শতাংশ। অথচ  চাষের খরচ এবং মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ১২-১৫ শতাংশের  বেশি। এথেকে পরিষ্কার এমএসপি’র এই বৃদ্ধি চাষির পক্ষে মোটেই লাভজনক নয়!
এমএসপি-তে সরকারি ক্রয়ের কোনও নিশ্চয়তা নেই। আগে অন্তত পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় ধান এবং গম কেনা হতো। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার গত বছর কেনা ফসল সরকারি গুদামে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। পড়ে রয়েছে কৃষি মান্ডিগুলিতে। তাই জায়গার অভাবে  এই বছর সরকার ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতি কৃষকদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে। মোদী-৩ সরকারের  জনবিরোধী নীতির বিরূদ্ধে প্রতিবাদ  জানাতে সংযুক্ত কিষান মোর্চা (এসকেএম), কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির একটি যৌথ মঞ্চ এবং অন্যান্য কয়েকটি স্বাধীন ফেডারেশন— গত ২৬ নভেম্বর  কৃষক ও শ্রমিকদের সম্মিলিত  বিক্ষোভের ডাক দেয় । এই ডাকে সাড়া দিয়ে,  দেশের  সমস্ত  জেলা সদরগুলিতে  কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর এবং গ্রামীণ দরিদ্র মানুষরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। 
ভারতীয় কৃষিকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলির হাতে তুলে দিতে, মোদী সরকার ২০২৪-২৫ বাজেটে কৃষিতে ‘ডিজিটাল কৃষি মিশন’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  উদ্দেশ্য জমি ও ফসলের ডিজিটাইজেশন। পাশাপাশি চুক্তি চাষে জোর এবং খাদ্যশস্য থেকে বাণিজ্যিক শস্যে কৃষির  রূপান্তরের  পরিকল্পনা। এসব বিষয়ে, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (আইসিএআর)’ও বহুজাতিক কোম্পানির (এমএনসি) মধ্যে বেশ কয়েকটি  মৌ  চুক্তি ইতিমধ্যেই স্বাক্ষরিত হয়েছে যা  কৃষির কর্পোরেটাইজেশনে আরও গতি বাড়াবে।এছাড়াও, সরকারি সংস্থা এফসিআই গুদাম, সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউস  সবই আদানি এবং আম্বানিদেরমতো কর্পোরেট কোম্পানিগুলিকে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। কর্পোরেট আক্রমণ থেকে কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে বিভিন্ন মৌ চুক্তি সহ ‘ডিজিটাল কৃষি মিশন (ডিএএম)’ বাতিলের  দাবিটিও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। 
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী শুধু ২০২২ সালেই দেশের ১১২৯০ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কৃষক আত্মহত্যার মূল কারণ কৃষি ঋণের বোঝা। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি ঋণ মকুবের নির্দিষ্ট কোনও ঘোষণা নেই। আবার কৃষকদের জন্য নির্ধারিত সরকারি ভরতুকি এবং ঋণের একটি ভালো অংশ শহুরে এলাকায় অকৃষি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে যা কৃষকদের আর্থিক লড়াইকে আরও কঠিন করে তুলছে। এব্যাপারেও সরকার উদাসীন। 
কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব থেকে কৃষিকে বাঁচাতে ফসল বিমার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা ( পিএমএফবিওয়াই)ই দেশের প্রধান শস্য বিমা। এই যোজনা, ‘ওয়ান নেশন-ওয়ান স্কিম’ নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু ফসল বিমা 'এরিয়া অ্যাপ্রোচ ' এখানে ব্যক্তির কোনও ভূমিকা থাকে না। ফসলের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে, ফসল নষ্টের জন্য ক্ষতিপূরণ ঠিক করা হয়। এই ক্ষতির হিসাব কিছু ফসলের ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত ( জিপি ) স্তরে হয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে ব্লক স্তরে হয়। এই ব্যবস্থায় অনেক ক্ষেত্রেই ফসল নষ্ট হলেও বিমা থাকা সত্ত্বেও চাষি ক্ষতিপূরণ পান না। কৃষি বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘বিমার সুযোগ  ঠিক জায়গায় ঠিক পরিমাণে পৌঁছাচ্ছে না। এ সমস্যার সমাধান মিলবে তখনই যখন আধুনিক প্রযুক্তির  মাধ্যমে শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত এককটিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যাবে।’  জমির মালিকানা না থাকায় ভাগচাষিরা  বিমা ও অন্যান্য সুযোগের বাইরে থেকে যান। তাই ভাগচাষি সহ সমস্ত চাষি যেন ফসল বিমার সুবিধা পেতে পারেন তা নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে।
গত তিন বছরে কেন্দ্রীয় সরকার সারের ভরতুকি কমিয়েছে  ৬২,৪৪৫ কোটি টাকা। এতে খাদ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। একই সঙ্গে খাদ্যের ভর্তুকি হ্রাস করেছে। এই জোড়া আক্রমণে খাবারের দাম অনেকটাই বেড়েছে। একদিকে বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম অত্যন্ত চড়া অন্যদিকে  গণবণ্টনে দুর্নীতি। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিক, কৃষকও দরিদ্র মানুষের খাদ্য বঞ্চনা বাড়ছে। দেশের বেশির ভাগ রাজ্য এখন ক্যাশ ট্রান্সফার মডেল গ্রহণ করেছে। কিন্তু তার পরিমাণ খুবই সামান্য। সেই সামান্য অনুদানে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গণবণ্টন ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন মানুষ।    
ভারতীয় কৃষিতে তীব্র সঙ্কটের  ফলে গ্রামীণ যুবকরা কাজের খোঁজে  শহরে চলে আসছেন। এতে শহরে শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে  কাজের বাজারে  সমস্যা সৃষ্টি  হচ্ছে। কোভিড কালে,  মোদী  সরকার শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি, কাজের অবস্থার উন্নতি এবং কারখানার নিরাপত্তা ইত্যাদিকে সামনে রেখে  ৪৪টি শ্রম আইনকে  ৪টি শ্রম কোডে রূপান্তরিত করেছে। এ ব্যাপারে অর্ডিন্যান্স পাশ করেছে। তাতে ন্যূনতম মজুরি, চাকরির নিরাপত্তা, আট ঘণ্টা কর্মদিবস এবং সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। ইউনিয়ন করার  এবং যৌথ দর কষাকষির অধিকারও থাকবে না।  ক্যাপেক্স, উৎপাদন লিঙ্কযুক্ত কর্মসংস্থান এবং শিল্প উন্নয়নের নামে নানা রকম ছাড়ের দোহাই দিয়ে সরকারি  কোষাগার থেকে টাকা কর্পোরেটদের কাছে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের বিভিন্ন চুক্তিতে বেঁধে ফেলা হচ্ছে। এবং কোনও নিয়োগ নীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যমান শ্রমিক ও চাকরিপ্রার্থী যুবকদের  দাসত্বের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।  কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের  ঘোষিত ন্যূনতম মজুরির তুলনায় অনেক কম মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই শ্রম আইনের লঙ্ঘন ঘটছে। কর্মস্থলে  শ্রমিকরা নিরাপদ নন। প্রতিদিন আগুন ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় কেউ না কেউ মারা যাচ্ছেন,  আহত হচ্ছেন।  ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করা এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। অনেকেই ইএসআই, গ্র্যাচুইটি ইত্যাদির মতো সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের  আওতায় নেই। অ্যানুয়াল সার্ভে অব ইন্ডাস্ট্রি ২০২১-২২ অনুযায়ী কৃষিতে মজুরি প্রতিদিন ৫৬৩ টাকা শিল্পে ৬৩০ টাকা।  মহিলা শ্রমিকের ক্ষেত্রে এই মজুরি ৩৮৯ টাকা। যদি ধরে নেওয়া যায় এরা প্রত্যেকে সারা মাস কাজ পাবেন তাহলেও মাসিক আয় ২০০০০-এর কম। ভারতের যেকোনও শহরে একজনের জীবনযাত্রার ব্যয় এর চেয়ে বেশি। 
স্বাভাবিক কারণেই ট্রেড ইউনিয়নগুলি শ্রমিকের অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রামের পথে রয়েছে। শ্রম কোড বাতিলের পাশাপাশি কর্মসংস্থান এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি করেছে।  সমকাজে সমবেতন সহ সমস্ত শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবিও রয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি প্রতিমাসে ২৬০০০ টাকা করার দাবিটি একেবারেই যথাযথ। এছাড়া সমস্ত কর্মীদের জন্য অবসরের পর ১০০০০ টাকা মাসিক পেনশন সহ সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধা— এগুলিও দাবির বাইরে নেই। 
২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের জন্য রেগায়  বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ ৮৬,০০০ কোটি টাকা। গত বাজেটেও এটাই  ছিল। অর্থাৎ বরাদ্দের পরিমাণ অপরিবর্তিত রইল। গ্রামীণ জনগণের কর্মসংস্থান তৈরির ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পে পর পর দু’বছর একই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের মানে, সরকার প্রকল্পটিতে বরাদ্দ কমিয়েছেন।  একটা তথ্য উল্লেখ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এবারে রেগাতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ মোট বাজেটের ১.৭৮ শতাংশ। শতাংশের হিসাবে গত নয় বছরে এটাই সর্বনিম্ন। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থবর্ষে রেগায় বরাদ্দকৃত  অর্থের ৪৪ শতাংশ জুন-জুলাইয়ে খরচ হয়ে গেছে।  ফলে অর্থবছরের শেষ কোয়ার্টারে টাকার অভাবে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে দুর্বল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান এবং রোজগার– দু’ ই বাধা পাবে। অনেকেই ভেবেছিলেন বাজেটে ১০০ দিনের কাজের মজুরি কেন্দ্রীয়ভাবে কিছুটা বাড়বে। তাও বাড়েনি। তবে রাজ্যগুলি চাইলে তা বাড়াতে পারে সেই ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রক একটি জাতীয় মজুরি সূচক চালু করেছে তাতে রেগার মজুরি কম বেশি (মুদ্রাস্ফীতির উপর ভিত্তি করে) করার ক্ষমতা  রাজ্যগুলিকে  দেওয়া হয়েছে। একদিকে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্যগুলিকে মজুরি বাড়ানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে অপরদিকে বরাদ্দ কমিয়ে কেড়ে নেওয়া হয়েছে মজুরি বাড়ানোর সামর্থ্য। এ পর্যন্ত প্রকল্পের  বরাদ্দ যা হয়েছে তাতে বছরে ১০০ দিনের পরিবর্তে  হয়ত ২৫-৩০  দিনের  কাজ জুটবে।  দাবি রেগাতে ২০০ দিনের কাজ এবং মজুরি প্রতিদিন ৬০০ টাকা দিতে হবে।  
অনেক রাজ্য সরকার নিজেদের বিজেপি বিরোধী বলে দাবি করলেও  প্রায়শই তারা কৃষক ও শ্রমিক বিরোধী নীতি অনুসরণ করছে যার প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।  কৃষকদের দারিদ্র ও কৃষি সঙ্কট থেকে মুক্তি দিতে, শ্রমিকদের সংগ্রামে জয়ী করতে— কৃষক ও শ্রমিকের ঐক্যকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। তবেই সরকার বিরোধী আন্দোলনের সাফল্য সম্ভব।

Comments :0

Login to leave a comment